অনলাইন ডেস্ক : আগে একবার প্রায় অবাস্তবের কাছাকাছি একটা সমীকরণ দেখানো যাক। ঠিক কোন সমীকরণে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্যর্থ হবে আর্জেন্টিনা? কনমেবল অঞ্চলের পরের ৫ ম্যাচে যদি আর্জেন্টিনা হারে এবং ১৫ গোল হজম করে, তবেই কেবল বাদ পড়ার সম্ভাবনায় থাকবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যার অর্থটা পরিস্কার, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ১ পা দিয়েই রেখেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো। আয়োজক হিসেবে এই তিন দেশ আগেই নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। এরবাইরে গতকাল প্রথম দেশ হিসেবে বাছাইপর্ব শেষে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে এশিয়ার দেশ জাপান। আর আগামী ২৬ তারিখ সেই সুযোগ থাকছে আর্জেন্টিনার সামনে।
আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে আর্জেন্টিনার পরবর্তী বিশ্বকাপের টিকিট। ঘরের মাঠে ভিনিসিয়ুস-রাফিনিয়াদের বিপক্ষে ১ পয়েন্ট পেলেই চলতি মাসে নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের টিকিট। জয় পেলেও স্বস্তি নিয়েই ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে আলবিসেলেস্তেদের।
কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে এই মুহূর্তে তিনে থাকা ব্রাজিলের জন্যে অবশ্য বিশ্বকাপের পথ এখনো কিছুটা বাকি। সেজন্যে অবশ্য খুব বেশি ভাবনা নেই তাদের। পরের ৫ ম্যাচে অন্তত দুই জয় তাদের পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বকাপের দোরগোড়ায়। তবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় পেতে চাইবে ব্রাজিলও। মর্যাদার লড়াইয়ে কোনো ছাড়ই দিতে রাজি না দোরিভাল শিষ্যরা।
যদিও বিগ ম্যাচের আগে চোট এবং হলুদ কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে কোচ দরিভাল জুনিয়র ও লিওনেল স্কালোনিকে। আসন্ন ম্যাচের আগে ৪ তারকাকে হারিয়েছে সেলেসাওরা। আর আলবিসেলেস্তেদের একজন অনুপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন আজকের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে। এর বাইরে অনিশ্চয়তায় আছেন রদ্রিগো ডি পল ও লাউতারো মার্টিনেজ।
কলম্বিয়া ম্যাচের মাত্র ২৮ মিনিটেই চোটের জন্য মাঠ ছেড়েছিলেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার গার্সন। ৭১ মিনিটে মাথায় আঘাত পেয়ে উঠে যান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। এ ছাড়া দুই ম্যাচে হলুদ কার্ডের কারণে পরের ম্যাচে খেলতে পারছেন না গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েস ও ব্রুনো গুইমারেস।