অনলাইন ডেস্ক : গাজায় পঞ্চম দিনের মতো চলছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের বর্বরতা। ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় ৩৪ জন নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে ১৪ জনই দক্ষিণ গাজার বাসিন্দা
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্যমতে, গত শুক্রবার থেকে গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার অন্তত ২০০ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব টার্গেটের বেশির ভাগই আবাসিক এলাকা ও শরণার্থীশিবির। সবচেয়ে তীব্র মাত্রার হামলাগুলো চালানো হচ্ছে গাজা সিটি, খান ইউনিস, দেইর আল বালাহ, বাইত লাহিয়া, আল মাওয়াসি আর নেতজারিম করিডরে।
কুদস নিউজের তথ্যমতে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হামাসের শীর্ষ নেতা সালাহ আল বার্দাউইল ও তাঁর স্ত্রী। তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো সদস্য। আল-মাওয়াসির শরণার্থীশিবিরে সস্ত্রীক ছিলেন তিনি। সেখানেই বিমান থেকে বোমা ফেলে ইসরায়েলি সেনারা।
আলজাজিরার গাজা প্রতিনিধি তারেক আবু আজৌম জানান, গাজার পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর। আমি যে মুহূর্তে প্রতিবেদনটি লিখছি, তখন আমার মাথার ওপরে উড়ছে ইসরায়েলি ড্রোন আর কোয়াডকপ্টার। গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে গাজার পরিস্থিতি প্রথম দফা যুদ্ধের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় গত পাঁচ দিনের হামলায় দুই শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এই সময়ে মোট নিহত হয়েছে ৬৩৪ ফিলিস্তিনি।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত সংস্থার (ওসিএইচএ) মুখপাত্র ওলগা চেরেভকোর বলেছেন, গাজায় গত কয়েক দিনের হামলায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া উপত্যকাটিতে ত্রাণ সরবরাহে ইসরায়েলের বাধা তো রয়েছেই। এমন পরিস্থিতিতে মোড়ল দেশগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।