স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে দলটির সাবেক নেতা সাহিদ হাসান আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মেয়র প্রার্থী হওয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে তিনি এ কথা জানান।
সাহিদ হাসান বলেছেন, সিটি নির্বাচনে তিনি অংশ নিচ্ছেন না। তিনি বিবৃতিতে বলেন, তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধাশীল।’
সাহিদ বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছি তা হলো- নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। আমার বক্তব্য না শুনেই এবং নুন্যতম আমার সাথে আলোচনা না করেই বিএনপির কয়েকজন নেতা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাতে তারা তাদের রাজনৈতিক যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের কাছে আমি রাজশাহী-২ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। বিএনপি মিজানুর রহমান মিনু ও আমাকে মনোনয়ন দেয়। মিনু ভাইকে প্রতীক দেওয়ায় আমি আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিই। বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা সিটি নির্বাচন নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি মনে করি আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।’
সাহিদ হাসান জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফার ভাই। তিনি রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতিও (ভিপি) ছিলেন তিনি। পরে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০১১ সালের দিকে মহানগর বিএনপির যে কমিটিতে মিজানুর রহমান মিনু সভাপতি ও শফিকুল হক মিলন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সেই কমিটির সহসম্পাদক ছিলেন সাহিদ। ধনাঢ্য এই ব্যবসায়ী এখন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়।
তবে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুও মনোনয়ন তোলেন। তখন বিএনপি দুজনকেই মনোনয়ন দেয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দুজনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে মিনুর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হলে সাহিদ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এবার তিনি সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছিলেন।
দলীয় চাপের কারণেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকলেন কি না এমন প্রশ্নে সাহিদ হাসান বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই নির্বাচন করা উচিত হবে না।’