অনলাইন ডেস্ক : এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফলাফল। ফলে সালমান আলি আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের জন্য পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ ছিল ব্যবধান কমানোর সুযোগ। কিন্তু ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ড কোনো পাত্তা–ই দেয়নি। বোলিংয়ে জিমি নিশাম আর ব্যাটিংয়ে টিম সেইফার্টের ঝড়ে একেবারে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল পাকিস্তান। তাদের করা ১২৯ রানের লক্ষ্য ১০ ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে কিউইরা।
ওয়েলিংটনের স্কাই ওভালে আজ (বুধবার) টস জিতে সফরকারীদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মিচেল ব্রেসওয়েলের নিউজিল্যান্ড। এর আগে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তরুণ হাসান নেওয়াজের দুর্দান্ত এক ইনিংসে পাকিস্তান সান্ত্বনার জয় পেয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছে বিশ্বক্রিকেটের আনপ্রেডিক্টেবলরা। কিন্তু পাকিস্তান তার অফফর্ম ধরে রেখেই পরের ম্যাচ থেকে ছন্দে ফিরেছে! ফলে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিইউরা জিতে নিলো ৪-১ ব্যবধানে।
আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বিপর্যয়ের শুরুটা হয় ইনিংসের প্রথম থেকেই। দলীয় মাত্র ৫ রানেই ওপেনার হাসান নেওয়াজ আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই। চলতি সিরিজ দিয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক, এরপর তৃতীয় ম্যাচেই খেললেন টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরির ইনিংস। বাকি তিন ম্যাচে শূন্য ও একটিতে ১ রান। একইভাবে অফফর্ম ধরে রেখে একে একে ফিরেছেন মোহাম্মদ হারিস, ওমাইর ইউসুফ, উসমান খান ও আবদুল। দলীয় ৫২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে পাকিস্তান।
সেই বিপর্যয় থেকে পাকিস্তানের সম্মানজনক হারের পথটা তৈরি করেন সালমান আগা ও শাদাব খান। অধিনায়ক-সহ অধিনায়ক মিলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। সালমান ৩৯ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫১ এবং শাদাব ২০ বলে ৫ চারে ২৮ রান করেছেন। এর বাইরে কেবল দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন হারিস (১৭ বলে ১১)। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ১২৮ রান সংগ্রহ করে।
প্রথম ইনিংসেই কিউইদের বড় জয়ের উপলক্ষ্য এনে দেন জিমি নিশাম। অভিজ্ঞ এই পেস অলরাউন্ডার একাই শিকার করলেন ৫ উইকেট। যা তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় আগপিছ না ভেবেই পাক বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন দুই স্বাগতিক ওপেনার টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। বিশেষ করে সেইফার্ট কাউকেই সমীহ করে ব্যাট চালাননি। পাকিস্তানের এক সুফিয়ান মুকিমই কেবল ছিলেন ব্যতিক্রম, ২ ওভারে ৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার।
তবে দলকে বড় জয় এনে দেওয়ার পথে আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন সেইফার্ট। কারণ মাত্র ৩ রানের জন্য তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি। তবে ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হননি, মাত্র ৩৮ বলে ৬টি চার ও ১০ ছক্কায় অপরাজিত ৯৭ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া অ্যালেন ১২ বলে ২৭ রান করেন। কিউইরাও মাত্র ১০ ওভারে ১৩১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেছে। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দুই দল।