অনলাইন ডেস্ক : শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। কম্পন প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, থাইল্যান্ড এবং চীনে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা প্রাণহানি কতটা হয়েছে তা সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের মাত্রা
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) অনুসারে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭।
অন্যান্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৯ এবং ৭.৩।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার।
অনুভূত অঞ্চল
ভূমিকম্পের কম্পন মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক এবং বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানেও অনুভূত হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি
প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের প্রভাব
ভূমিকম্পের কারণে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উঁচু ভবনগুলো থেকে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও কম্পন অনুভূত হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমারের ইরাবতী নদীর পাড়ে ঘনবসতিপূর্ণ মান্দাল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।