বিশ্বনাথ দেবনাথ
জীবনের ধারাপাত—
যতসব রেখাপাত—
ক্ষণিকের লভ্যাংশ—
ভগ্নাংশ— সমীকরণ—
মিলবে কোন্ কালে?
কোন্ পথে কোন্ ক্ষণে
জানিবে সে কোন্ জন?
আলোর মশাল জ্বেলে বধূবেশে এসেছিলে—
আঁধারের অবসান হয়;
সংসার-সাগর মাঝে যে তরী ভাসিয়েছিলে
কতকাল আগে…
কত ঝড় কত ঝঞ্ঝা কতশত বিপদসঙ্কুল পথ
পাড়ি দিয়ে এতকাল পরে তীরে ভিড়ালে তরী…
পুত্র পরিজন যত নাতি পুতি শত— কে রাখিবে মনে?
মাটির দেবতাকে পূজিনি গো মা
পূজেছি তোমায়!
কোলে-পিঠে করে করেছো মানুষ
দিয়েছো বুকে ঠাঁই!
তোমার সাজানো এই ঘর—
কতশত স্মৃতি পড়ে আছে অবহেলা অনাদরে!
হায়, তুমি আর আসবে না ফিরে এই চরাচরে!
যা-কিছু ছিলো সবই রেখে শূন্য হাতে তুমি গেলে চলে!
রাখিতে পারিনি ধরে— এ বিশ্বচরাচর মাঝে!
মা, কড়ি দিয়ে কেনা যাবে না তোমায়;
তুমি যে অমূল্য ধন!
ইতিহাসের ছোঁয়া লাগেনি গো মা
তবু ইতিহাস হয়ে রও।