ঢাকাSaturday , 29 March 2025
  1. অপরাধ
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. আরো
  6. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  7. কবিতা
  8. কলাম
  9. কোভিড-১৯
  10. খুলনা
  11. খেলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. চাকুরী
  14. চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  15. জয়পুরহাট
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্ষমতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনা দেশকে কারবালায় পরিণত করেছিল : রিজভী

Somoyer Kotha
March 29, 2025 1:05 am
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘ক্ষমতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনা দেশকে কারবালায় পরিণত করেছিল।’

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেন যে আন্দোলন কি করা হয়েছে শুধু নির্বাচন করার জন্য? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। কারণ, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ স্বীকার না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে? এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সব আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।

১২২টি গার্মেন্টসের শ্রমিক এখননো বেতন পাননি, ১৫০ গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বোনাস পাননি উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকারের দায়িত্ব শ্রমিকদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা। অবিলম্বে তাদের বেতন-বোনাসের ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।

রিজভী বলেন, জুলাই আন্দোলনে ১৭ জন রিকশাচালক জীবন দিয়েছেন। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। কী নিদারুণ কষ্টে তাদের পরিবারের সদস্যরা জীবনযাপন করছেন।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবার যেন অনাহারে না থাকে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে। যারা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত তাদের চাকরি দিতে হবে।

এ সময় বিএনপি নেতা ইশরাক ন্যায়বিচার পেয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। সেসময় চোর-ডাকাতরা এমপি হতো আর ভালো মানুষদের জায়গা হতো কারাগারে। বেগম খালেদা জিয়া তার উদাহরণ। যদি দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র থাকতো তাহলে ২০১৪ সালেই বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতেন।

অনুষ্ঠানে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর আইনি লড়াইয়ের পর গতকাল রায় পেয়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে এই রায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ বোঝার কমতি থাকার কারণে যে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, তাদের জানার ক্ষেত্রে কিছু তথ্যের ঘাটতি রয়েছে।

পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘অনেকেই হয়তো মনে করছে যে ৫ আগস্টের পর এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বা আমরা হয়তো এরপর এসে (২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর) এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ করতে হয় এবং সেই ৩০ দিনের মধ্যেই মামলাটি করা হয়েছিল।

পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আইনি বিধান থাকলেও বিগত ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের আমলে এটিকে বাধাগ্রস্ত করা হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী তাপস এই মামলা বাতিল করার জন্য উচ্চ আদালতে এবং নিম্ন আদালতে চাপ প্রয়োগ করেছেন। উচ্চ আদালতে আবেদন করে মামলার শুনানি বন্ধ করে রেখেছিলেন।

পরবর্তীকালে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ওই মামলার শুনানি করে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেই মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন জানিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, এই মামলায় সাক্ষী শুনানি হয়েছে, যুক্তিতর্ক হয়েছে এবং পরবর্তী সময় গতকাল কাঙ্ক্ষিত রায় দেওয়া হয়েছে।

ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচার চাওয়ার কারণে যদি কোনো গোষ্ঠী এটাকে অন্যায় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে আমার প্রতি বৈষম্য করে, যদি ন্যায়বিচার চাওয়ার জন্য এখন অপরাধী হয়ে যাই, তাহলে এ ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নাই, করারও নাই। জনগণই সেটার বিচার করবে। আমি এখানে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য কার্যক্রম চালিয়েছি।

এই রায় আরও ৫ বছর আগে, ১৮০ দিনের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল বলে জানান ইশরাক হোসেন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে এই রায় দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘এখন আমি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায়টি পেয়েছি। রায় পাওয়ার পর গতকালও বলেছি এটা দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে। সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী আমি আমার পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

সমালোচকদের উদ্দেশে ইশরাক আরও বলেন, ‘তারা ফোকাস করছে বিএনপির প্রার্থী মেয়র পদে যাচ্ছেন। আমরা যে একটি আইনি উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলাম, সেটার জন্য তাদের আমাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল এ কারণে যে একটা আইনের শাসন, এর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য, মূল লক্ষ্য।

ইশরাক বলেন, ‘আমি কিন্তু হারিনি। আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব, সেটা কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠা পাক, সেটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল।-বাসস

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০