অনলাইন ডেস্ক : ছুটিতে রাজশাহী মহানগরীর নিরাপত্তা দিতে নিয়োজিত থাকবে প্রায় দুই হাজার ৭০০ পুলিশ। পরিবার ছাড়াই ইদ করবেন ৮০ ভাগ এই পুলিশ সদস্যরা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১০ ভাগ পুলিশ সদস্য ইদের ছুটি পেয়েছেন। আর ইদের পরে ছুটিতে যাবেন ১০ ভাগ। বাকি ৮০ ভাগই ইদের সময়ে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
পবিত্র ইদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে শহরের ব্যস্ত মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশের বাড়তি টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। র্যাবও রাতভর টহল দিচ্ছে এবং নগরীর প্রবেশপথগুলোতে। র্যাব সদস্যরা অবস্থান করছেন রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালে।
আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন্সে ফোর্স রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার। এদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ইদের ছুটিতে গেছেন। ইদের পর পরই তারা কাজে যোগ দেবেন। তখন অন্য ১০ শতাংশ পুলিশ সদস্য ছুটিতে যাবেন। বাকি ৮০ ভাগ পুলিশ সদস্য ইদের ছুটিতেও দায়িত্বে থাকবেন।
ইদের ছুটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আরএমপির পক্ষ থেকে প্রথম রোজা থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নগরীতে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে টহল চলছে। পাশাপাশি মার্কেটগুলোর সামনে টহল দল সার্বক্ষণিক থাকছে। সাদাপোশাকে বিশেষ শাখার সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারি করছেন।
ইদের ছুটিকে কেন্দ্র করে শহরে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে পুলিশ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তারা রাজনৈতিক অস্থিরতার কোনো আশঙ্কা করছেন না। তারপরও তারা এ ব্যাপারেও সতর্ক আছেন।
ইদের ছুটিতে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে র্যাবও। র্যাব-৫ এর রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, ইদের ছুটিতে আমরাও নাশকতার কোনো আশঙ্কা করছি না। তারপরও সতর্ক রয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে তল্লাশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ইদের ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, ইদের দিন রাজশাহীর কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দান এলাকায় র্যাবের ডগ স্কোয়াড টিম থাকবে। পাশাপাশি নগরীর অন্যান্য ইদগাহগুলোর দিকেও নজরদারি করা হবে।
ইদের ছুটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের মোড়ে মোড়ে খেলাধুলার নির্দেশনা দিয়েছে মহানগর ছাত্রদল। মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি বলেন, ইদের সময় যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে ছাত্রদল প্রস্তুত থাকবে। আমাদের নেতাকর্মীদের মোড়ে মোড়ে খেলাধুলা করতে বলা হয়েছে যেন যে কোনো প্রয়োজনে তারা তাৎক্ষণিক মাঠে নামতে পারে।