অনলাইন ডেস্ক : ভারতীয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। আর পাঁচজন বাঙালির মতোই খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। একটা সময় দিল্লিতেও ছিলেন। বাংলা এবং দিল্লির খাবারের বৈশিষ্ট্য এটাই, দুই জায়গাতেই স্পাইসি খাবার পাওয়া যায়। ফলে সুস্মিতা সেনের টেস্টবাডও স্পাইসি খাবারের দিকেই ঝুঁকে থাকে বেশি।
ঝাল, মশলা ছাড়া খাবার তৈরি হলে তিনি মোটেই মুখে তুলতে পারেন না। কলকাতা, দিল্লির পর ইউরোপে কয়েক বছর কাটিয়েছেন সুস্মিতা। ইউরোপের খাবারে ঝালের আধিক্য কম। মূলত সেদ্ধ খাবারই পাওয়া যায় বেশি। ফলে প্রথম প্রথম কোনও রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে খুবই হতাশ হতেন সুস্মিতা।
তার মুখের রুচি হারিয়ে যেত। খেতে পারতেন না। তিনি যে মস্ত ‘ফুডি’। ভালো করে খাওয়ার জন্য ব্যাগের মধ্যে আগে থেকেই সস নিয়ে যেতেন। খাবার আসলেই তাতে ছড়িয়ে দিতেন সেই সস।
পুরনো এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্পই হাসতে হাসতে করেছিলেন সুস্মিতা আর বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি মেয়ে, দিল্লিতে বড় হয়েছি। সব খাবারেই ঝাল, ঝোল, মশলা। তাই খেয়েই আমি অভ্যস্ত। তবে ইউরোপে গিয়ে মহা বিপদে পড়েছিলাম।’
তার কথায়, ‘দেখি সব খাবারই মশলা বিহীন। একদম খেতে পারতাম না। এর উপায় বের করেছিলাম। ব্যাগে করে সস নিয়ে ঘুরতাম। যখনই খেতে বসতাম, তাতে ছড়িয়ে নিতাম সস। খাওয়া হয়ে যেত।’
নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো, এমনটাই বিশ্বাস করেন সুস্মিতা। মশলাহীন খাবারকে সুস্বাদু করে তুলতে বেছে নিয়েছিলেন সস। তার সেই অভ্যাস আজও যায়নি। এ দেশের রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেও ব্যাগের মধ্যে সসের পাতা নিয়ে ঘোরেন।