অনলাইন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণির এক বছরের মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার ঢাকার ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) জিডি করেছেন পিংকি আক্তার।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানাতে চাইলে পরীমণি বলেন, মেয়েটা চাকরির জন্য এসেছিল। খুব কান্নাকাটি করল। বলল, বের করে দিয়েন না, যেকোনো কাজ করে দেব, আমার কেউ নেই, বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে আছি। অন্তত একটা মাস থাকি। আমার দয়া হলো। কিন্তু সে ছিল প্রতিবন্ধী। কাজ করার সক্ষমতা ওর ছিল না। তবু আমি তাকে বললাম, কাজ করতে হবে না, আমার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবে।
পরীমণি জানান, একটি এজেন্সি মারফত মেয়েটিকে পেয়েছেন তিনি। ওই এজেন্সির অনুরোধে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই তার ওপর সন্দেহ তৈরি হয় অভিনেত্রীর। কারণ মেয়েটি বেশিরভাগ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকে। কোথায় যেন ছবি ও ভিডিও পাঠায়।
অন্যদিকে এবার পরীমণিকে নিয়ে রোববার (৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তরুণ গায়ক শেখ সাদী।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, একটু ভাবেন তো, অনলাইনে আপনার ছবি পোস্ট করে একজন জানালো আপনি একজন রেপিস্ট! যার কোনো প্রমাণ নেই এবং ঘটনাটা অবাস্তব। এটা দেখার পর নিশ্চয়ই আপনার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠবে। ধরুন, এই পরিস্থিতিতে আপনি কোনোভাবেই সেই পোস্ট সরাতে পারতেছেন না। মানুষ আপনার বাবা-মাকে ট্যাগ করতেছে। আপনার আত্মীয়-স্বজনকে ট্যাগ করতেছে। আপনার পাশের বাসায় থাকা লোকটাও সেটা শেয়ার করে ছিঃ ছিঃ করতেছে। কিন্তু আপনার কিচ্ছু করার নাই। আপনি কয়জনকে বোঝাবেন? মিডিয়ার এই ভিউ ব্যবসার ফাঁদে বন্দি হয়ে যদি আপনার সম্মানহানি হয়, আপনার করারও কিছু থাকে না। তখন আসলে আপনার পরিস্থিতিটা কী হতে পারে একবার কি ভেবেছেন?
সাদী আরও লিখেন, আপনাদের জীবনে এমন কি কখনো হয় নাই যে, আপনি কোনো কাজ ঠিকমতো করার পরও, আপনার প্রতি ক্ষোভ বা জেদের বশবর্তী হয়ে মিথ্যা ছড়ানো হয়েছে? সত্য জানার আগেই মিডিয়ার কিছু ক্ষোভ বা বানোয়াট গল্পকে আপনি সত্য ধরে নিয়ে পরীকে বুলি করছেন। একজন নামপরিচয়হীন মানুষ, যাকে কেউ চেনে না, তার কথার ওপর ভিত্তি করে তাকে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা হলো। তার অযাচিত কথা দেশব্যাপী ছড়ানো হলো। একবারও কি মনে হলো না সে একজন প্রতারক বা বড় মাপের মিথ্যাবাদী? সেটা যাচাই ছাড়াই সস্তা ভিউয়ের জন্য এসব প্রচার করলেন। এখানে তো আমার বা সৌরভের কথা আসার প্রশ্নই আসে না। তাই এটা ক্লিয়ার যে, ওই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য পরীকে হেয় করা। আর পরীর সাথে আমি ও আমার পরিবার, মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। যেটা আমি আর আমার পরিবার ডিজার্ভ করে না।
পরী আপনাদের ভালোবাসার জন্যই আজ একজন সুপারস্টার উল্লেখ করে তিনি লিখেন, পরী আপনাদের ভালোবাসার জন্যই আজ একজন সুপারস্টার কিন্তু তার উপহারস্বরূপ যেকোনো বিষয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনকে টেনে তাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয় ! কিছু ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীর জীবনের খবরকে বানিয়েছে তাদের রুটি-রুজির অংশ! তারা ভুলে যায়, নায়িকা চরিত্রের বাইরেও পরী একজন নারী, একজন মা ও সবার ঊর্ধ্বে সে একজন মানুষ।