অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ হারার অনুভূতিটা একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিল জার্মানির জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। শেষ ৪ বছর আর ২২ ম্যাচ ধরে এমন কিছু সহ্য করতে হয়নি বাভারিয়ানদের। কিন্তু ইতালি থেকে উড়ে এসে ইন্টার মিলান পতন ঘটালো বায়ার্ন দুর্গের। শেষ সময়ের গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে ইউরোপিয়ান ক্লাসিকের এক লড়াইয়ে ২-১ গোলে হারালো নেরাজ্জুরিরা।
ইউরোপ সেরার আসরে বায়ার্ন মিউনিখ সবশেষ ঘরের মাঠে হেরেছিল ২০২১ সালের এপ্রিলে। পিএসজির বিপক্ষে ওই ম্যাচটিও ছিল কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে। সেবারে বাভারিয়ানদের হার ছিল ৩-২ ব্যবধানে। এবারে অবশ্য হারটা এড়াতে পারতো বায়ার্ন। যদি নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারতেন বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকাররা।
ঘরের মাঠে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিলেও গোলের দেখাটাই পায়নি বায়ার্ন। ইন্টারের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি শট নিয়েছে তারা। গোলমুখে শটও ছিল প্রায় দ্বিগুণ। বল দখল কিংবা বড় সুযোগ কোথাও পাত্তা পায়নি ইন্টার। কিন্তু, ফিনিশিং দক্ষতার কারণেই কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ফলাফল গিয়েছে ইন্টারের পক্ষে।
প্রথমার্ধেই ৭টি শট লক্ষ্যে রেখেছেন বায়ার্নের আক্রমণের ভরসা হ্যারি কেইন, মাইকেল ওলিসরা। কিন্তু এই অর্ধে গোলের দেখা পেয়েছিল ইন্টার। সপ্তম মিনিটে মাইকেল ওলিসের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ২০তম মিনিটে বক্সে ঢুকে বুলেট গতির কোনাকুণি শট নেন রাফায়েল গেরেইরো। সেটা ফেরান ইয়ান সোমের। এর আগে ওলিসের আরও এক শট ফিরিয়েছিলেন ইন্টারের সুইসগোলরক্ষক।
অনেকটা ধারার বিপরীতে ৩৮ মিনিটে লিড পায় ইন্টার মিলান। ডান দিক থেকে আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান বক্সে। মার্কাস থুরাম ব্যাক হিলে খুঁজে নেন সতীর্থ লাউতারো মার্তিনেজকে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিখুঁত শটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন (১-০)।
শেষ ১৫ মিনিটের জন্য একসাথে তিনটি পরিবর্তন আনেন বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। লেরয় সানেকে তুলে নামান অভিজ্ঞ থমাস মুলারকে। গেরেইরার বদলি নামান ফরোয়ার্ড সার্জিও নাব্রিকে। এই মৌসুমেই বায়ার্ন ছাড়তে যাওয়া মুলার মাঠে নেমেই নিজের কারিশমা দেখান। কোনার্ড লাইমারের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন মুলার। বাভারিয়ানদের হয়ে এটি তার ২৪৮তম গোল।
তবে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার ঘরের মাঠের সমর্থকদের স্তব্ধ করতে ইন্টার সময় নিয়েছে ৩ মিনিট। কার্লোস অগাস্তোর বাড়ানো ক্রস থেকে গোল করেন ডেভিড ফ্রাত্তেসি। ২-১ গোলে হার নিশ্চিত হয় বায়ার্নের মিউনিখের। আগামী ১৬ এপ্রিল ফিরতি লেগে ইন্টারের ঘরের মাঠ সান সিরোয় মুখোমুখি হবে দুই দল।