স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হরুপদিয়া গ্রামে বার বছরের জনৈকা শিশু বায়ান্ন বছরের বৃদ্ধার হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটি গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বজনরা জানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার বিকেলে হরুপদিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে নির্যাতিত ওই শিশুকে পুলিশ হেপাজতে আনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে দুপুরে শিশুর পরিবার দুধ শিরনী বাড়িতে রান্না করে। বাড়ির আঙিনায় দাদা দেলোয়ার মোল্লার স্ত্রীকে রান্না করা দুধ শিরনী শিশুকে পাঠায় তার মা। দেলোয়ার মোল্লার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় শিশুটির উপর কুনজর ফেলে বৃদ্ধা দাদা। এক পর্যায়ে শিশুকে পটিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে পাশবিক নির্যাতন করে। বাড়ির কাউকে ঘটনাটি না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় শিশুটি পরিবারের কারো কিছু না বলে ভয়ে চুপ হয়ে যায়।
এদিকে মেয়ের ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় বৃদ্ধ দেলোয়ার মোল্লার ঘরের দিকে এগিয়ে যায় মা। কিন্তু তিনি গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ কিন্তু দরজার সামনে মেয়ের পাদুকা জোড়া। এতে মায়ের সন্দেও ঘনীভূত হওয়ায় স্বামীকে ডেকে এনে বিষয়টি জানান। মেয়েকে ডাকলেও ঘরের মধ্যে কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় উদবিঘ্ন হয়ে ওঠেন। অবশেষে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে শিশুর উপর বৃদ্ধার পাশবিক নির্যাতনের সত্যতা নিশ্চিত হলেও ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় দেলোয়ার মোল্লা।
ঘটনাটি এককান দুকান জানাজানি হতেই গ্রামের সমাজপতিরা শিশুর উপর বৃদ্ধার পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাটি ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে উঠে পরে পরিবারের পিছু লাগে। কিন্তু শিশুর পরিবারের লোকজন রাজি না হওয়ায় তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুকে উদ্ধার করে।
এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছ এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।