সিলেট প্রতিনিধি : জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি,জাতীয় দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকা স্টাফ রিপোর্টার,দৈনিক সকালের খোঁজখবর পত্রিকা চিফ রিপোর্টার,সময়ের কথা ২৪ এর ব্যুরো প্রধান সিলেট এম এ রশীদ কে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার (১৪ এপ্রিল )রাত ৮ ঘটিকার সময় সিলেটের বিয়ানীবাজার থানাধীন শেওলা পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত)ছবেদ আলী বলেন,সাংবাদিক এম এ রশীদ একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি)করেছেন।এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযুক্ত ঔই সন্ত্রাসী ভূমি খেকোর নাম কামরুজ্জামান কামরান।তিনি নিজস্ব ট্রাক্টর ও ট্টলি কামরান পরিবহনের মালিক।ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ রশীদের করা সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে,গত ১৪ এপ্রিল রাত ৮ ঘটিকার সময় তিনির সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন ভূমি খেকো কামরান।সাংবাদিক এম এ রশীদ জিডিতে উল্লেখ করেন কামরান রাস্তার উপর দিয়ে অবৈধভাবে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করে রাস্তা নষ্ট করার কারণে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে নিউজ করছিলেন এর জের ধরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি এম এ রশীদকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভূমি খেকো কামরুজ্জামান কামরান এর বিরুদ্ধে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছবেদ আলি জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।জিডি সূত্রে জানা যায়,বিয়ানীবাজার উপজেলার বালিঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে কামরুজ্জামান কামরান এর বিরুদ্ধে সিনিয়র সাংবাদিক জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজকের বসুন্ধরায় বিয়ানীবাজার ট্রাক্টর ট্রলি থেকে মহাসড়কে পড়া মাটি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ,চারাবইয়ে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা,জন দুর্ভোগ চরমে,৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক অর্থদৃষ্টি,৬ ফেব্রুয়ারি শেওলায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা,এ যেন এক মগের মুল্লুক শীর্ষ সংবাদ প্রকাশিত হয়।ওই সব সংবাদের জের ধরে প্রায় দুমাস পর গত সোমবার রাত ৮ টার দিগে সাংবাদিক এম এ রশীদ তিনির কর্মস্থল সিলেট অফিস থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা পল্লী বিদ্যুৎ নামক স্থানে একা পেয়ে ভূমি খেকো দেওয়ান কামরুজ্জামান কামরান,শেওলা ইউনিয়নের বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক,অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারতে আসেন,এবং তুই কেন নিউজ করলে এসব কথা বলে মারতে আসে, কথিত শেওলা ইউনিয়ন এর সাংগঠনিক সম্পাদক কামরান এও বলে তকে দুনিয়া থেকে চিরতরে উঠিয়ে দিবো,কেন নিউজ করা হয়েছে জানতে চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।এ ঘটনায় সিলেট জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে হুমকিদাতার শাস্তির দাবি করেছেন।জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এম এ রশীদ এর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুজ্জামান কামরান গালমন্দ করে হুমকি দিয়ে বলেন,তুই নিউজ করে আমার অনেক ক্ষতি করছত আমি তর সাংবাদিকের নাম মিটিয়ে দিবো,‘এই বিষয়ে আর উচ্চবাচ্য করলে চাঁদাবাজ সাজিয়ে পুলিশের কাছে তকে মামলা দিয়ে । ফাঁসানো হবে।’এসময় কামরান আরও বলেন বেশ বাড়াবাড়ি করলে তকে মেরে গুম করে ফেলা হবে। এ সময় হট্টগোল শুনে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং কামরান সিনিয়র সাংবাদিক এম এ রশীদ কে মারতে আসলে প্রত্যক্ষদর্শী মানুষ ধরতে আসেন।ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ রশীদ জানান,সাংবাদিকতায় যখন থেকে এসেছি তখন থেকেই মাঝেমধ্যে এমন হুমকি পেয়ে অভ্যস্ত।তাই এখন আর এগুলো গায়ে লাগে না।কিন্তু এবারের বিষয়টি ভিন্ন।যেহেতু আমার বাড়ি কামরানের বাড়ির রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাই আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।আমার কাছে ঘটনার সময়কার কিছু ভিডিও ধারণ করা আছে।জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)রঞ্জিত সরকার বলেন,প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
