অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ ১২৮ বছর পর আরও একবার অলিম্পিক গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে থাকছে ব্যাটে-বলের লড়াই। সেই ইভেন্টে ক’টি দেশ অংশ নেবে সেটিও নিশ্চিত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, সোনার পদকের জন্য পুরুষ ও মহিলা বিভাগে লড়বে ৬টি করে দেশ।
অলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। বিশ্বের প্রায় সকল ক্রীড়া ইভেন্ট আর বিশ্বসেরা তারকাদের এক মিলনমেলা এই অলিম্পিক। প্রতি চার বছর পরপর বসে অলিম্পিকের আসর, যেখানে অংশগ্রহণ করতে মুখিয়ে থাকেন ক্রীড়াবিদরা।
তবে সারাবিশ্বের সবরকমের ক্রীড়া ইভেন্ট দেখা গেলেও অলিম্পিকে উপেক্ষিতই রয়ে গিয়েছে ক্রিকেট। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই খেলা ঠিক কী কারণে নেই, তার যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি কখনোই। তবে আশার কথা, লম্বা সময় পর ক্রিকেট ফিরে আসতে পারে অলিম্পিকে।
অলিম্পিকে ক্রিকেট শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯০০ সালে। সেবার গ্রেট ব্রিটেন স্বর্ণ ও ফ্রেঞ্চ এথলেটিক ক্লাব ইউনিয়ন রৌপ্য জয় করে। এরপর থেকে আর ক্রিকেট খেলা হয়নি বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায়। ১৯৮৬ সালে অ্যাথেন্স অলিম্পিকে ক্রিকেট রাখা হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক দল অংশ না নেওয়ায় শেষপর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি কোনো বল।
এরপর থেকে নিয়মিত চেষ্টা করা হয়েছে ক্রিকেটকে অলিম্পিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ২০২৪ অলিম্পিক আসরে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির জন্য আইসিসি চেষ্টা করলেও তা আর হয়নি। এবার তা আলোর মুখ দেখেছে। ২০২৮ অলিম্পিকে ছ’টি দল খেলবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ এবং নারী, দুই বিভাগের ক্ষেত্রেই সংখ্যাটি একই থাকছে। প্রতিটি দলে থাকতে পারেন সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য।
তবে যোগ্যতা অর্জন কীভাবে হবে তা এখনও জানা যায়নি। আইসিসির অধীনে ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশ রয়েছে। এ ছাড়া ৯০টিরও বেশি দেশ সহযোগী সদস্য হিসেবে রয়েছে, যারা মূলত টি-টোয়েন্টিতে খেলে। আয়োজক হিসেবে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারে আমেরিকা। বাকি দেশগুলোকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
তবে এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, টি-টোয়েন্টির দলগত র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে নির্ধারণ হতে পারে কারা খেলবে। বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ছয়ে আছে যথাক্রমে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ছাড়া সাতে আছে পাকিস্তান। আর র্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যে ক্রম তালিকায় পরিবর্তনও হতে পারে।