অনলাইন ডেস্ক : ৩ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়েই ৫৩ রান তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এরপর বিরাট কোহলি ও ফিল সল্টের ভুলে রানআউটে ভাঙল সেই উইকেট। পরের ১৫ ওভারে মাত্র ৭৪ রান তুলতেই ৭ উইকেট নেই। শেষমেষ ঘরের মাঠে কোহলিদের পুঁজিটাও খুব একটা চ্যালেঞ্জিং হলো না। একইসঙ্গে তার রেকর্ড ম্লান করে ৯৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন লোকেশ রাহুল। ফলে ৬ উইকেটের জয়ে চারটি ম্যাচেই অপরাজেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ সমান ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন ওপেনার ফিল সল্ট ও টিম ডেভিড। বিপরীতে ভিপরাজ নিগাম ও কুলদীপ যাদব নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৩০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল দিল্লি। সেই বিপর্যয় দারুণভাবেই সামলেছেন বেঙ্গালুরুর ছেলে রাহুল। তবে প্রতিপক্ষের জার্সিতে তিনি ঝড় তুলে বেঙ্গালুরুকেই হারিয়ে দিলেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ত্রিস্টান স্টাবস। দুজন মিলে গড়েন ১১১ রানের অনবদ্য জুটি। রাহুল ৫৩ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৯৩ এবং প্রোটিয়া তারকা স্টাবস ২৩ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত শতভাগ জয়ের পথে দিল্লি লক্ষ্য পেরোয় ১৩ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে।
এর আগে প্রথম ব্যাটার হিসেবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আইপিএলে ১০০০ বাউন্ডারির ইতিহাস গড়েন বিরাট কোহলি। এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১৮ সংস্করণেই খেলা এই তারকা ২৫৭ ম্যাচে মেরেছেন ৭২১ চার ও ২৭৯টি ছক্কা। যদিও বেঙ্গালুরুর সাবেক অধিনায়ক ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। ১৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে তিনি ২২ রান করেছেন। ১০০০ বাউন্ডারি পূর্ণ হতে এই ম্যাচ শুরুর আগে মাত্র দুটি বাউন্ডারি প্রয়োজন ছিল কোহলির।
কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে আউট হওয়ার আগে ওপেন করতে নেমে সল্ট ঝড় তুলেছিলেন। মাত্র ১৭ বলেই করেছিলেন ৩৭ রান। এরপর তার সঙ্গে বেঙ্গালরুও রানআউটে বড় ধাক্কা খেলো। এরপর এক এক করে দেবদূত পাদিক্কাল (১), বিরাট কোহলি (২২), লিয়াম লিভিংস্টোন (৪) ও জীতেশ শর্মারা (৩) সাজঘরে ফিরলেন। শেষদিকে টিম ডেভিড ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস না খেললে আরও কম রানে থেমে যেত বেঙ্গালুরুর ইনিংস। আর অধিনায়ক রজত পাতিদার (২৩ বলে ২৫) খেললেন মন্থর ইনিংস।
অন্যদিকে, লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০ রানের মাঝেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দিল্লি। ফাফ ডু প্লেসি (২), জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক (৭) এবং অভিষেক পোড়েল (৭) পরপর আউট হয়ে দলের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। মাঝে অক্ষর ১৫ রান করে ফিরলেও, আর পেছন ফিরে তাকাতে দেননি রাহুল-স্টাবসের ১১১ রানের জুটি।