বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার খোদাপুর গ্রামে হটাৎ পান বরজে আগুন লেগে প্রায় ৮০জন কৃষকের পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ৫নং আউচপাড়া ইউনিয়নের খোদাপুর সরদারপাড়া বিলের পান বরজে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। জুম্মার নামাজের সময় হওয়ায় পানের বরজে কোনো লোকজন ছিল না।এমন সময় পান বরজের দক্ষিন পার্শ্বে আগুন জ্বলতে দেখে পান বরজের কয়েকজন কৃষক। তারা চিৎকার শুরু করলে গ্রামের আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বাগমারা এবং মোহনপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।খবর পেয়ে মোহনপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করে। অবশেষে ২ টি ইউনিটের দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ আগুন লাগার ঘটনায় কৃষকদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নতুন বছর হওয়ার পান বরজে পুরানো অনেক পান ছিল যা এখন দুঃস্বপ্ন। আগুন লাগার কারন জানা যায়নি, তবে ধারনা করা হচ্ছে বিড়ি -সিগারেটের আগুন থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হতে পারে।
খোদাপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইমান আলী জানান, জুম্মার নামাজের সময় হটাৎ পান বরজের দক্ষিন পার্শ্বে কিছুটা আগুন দেখা যায়। মুহূর্তেই তা বড় আকার ধারন করে ভয়াবহ রুপ নেই। স্থানীয় কৃষক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। কিন্তু তার আগেই আমাদের ২০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কষকরা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সাব অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। মোহনপুর ও বাগমারার দুইটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন সম্পুর্নভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে পান বরজে কাজের লোকজনের বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকেই ঘটনার সুত্রপাত।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সত্যিই মর্মান্তিক। কৃষি অফিসারের মাধ্যমে ভিজিট করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগীতার ব্যবস্থা করা হবে।