অনলাইন ডেস্ক : ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন সময়েই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সাতপাকে বাঁধা পড়েন মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই দম্পতির মেয়ে সোহা আলি খান জানালেন, সেই সময় অনেকেই তার মাকে বলেছিলেন- এই বিয়ে তার ক্যারিয়ারের জন্য ‘আত্মহত্যার’ মতো। অর্থাৎ সম্পূর্ণ ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে শর্মিলার।
নয়নদীপ রক্ষিতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহাকে বলতে শোনা যায় যে, মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে রোজগার শুরু করেন আমার মা শর্মিলা ঠাকুর।
অভিনেত্রীর কথায়, মায়ের বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর, তখন সে সিনেমায় অভিনয় শুরু করে দেন। রোজগার করতেন, নিজের পায়ে দাঁড়ান। যদিও সেই সময় সিনেমায় কাজ করা মানুষদের দেখা হতো না ভালো চোখে। আর যেহেতু শর্মিলা অন্য ধর্মে বিয়ে করেন, তাই যেন আরও সমস্যার মুখে পড়েন! প্রায় সারাজীবনই তাকে শুনতে হয়েছে, ‘তোমার স্বামী তোমাকে কাজ করতে দেয়?’ আর এসবে আমার মায়ের জবাব থাকত, ‘এসব কী কথা! অনুমতি দেওয়ার কী আছে!’
আসলে আমার বাবা খুব খোলা মনের মানুষ ছিলেন। তিনিই সব ছক ভেঙে দিয়েছিলেন- যোগ করেন সোহা।
শর্মিলাকে নিয়ে সোহা আরও বলেন, ‘মা যখন কাজ করত, তখন মহিলারা হয় নায়িকা হতেন, না হলে মা! মাঝামাঝি কিছু ছিল না আসলে। কিন্তু আমার মা সবসময় নিজের জন্য একদম আলাদা কিছু করেছে।’
সোহা উদাহরণ টেনে বলেন, আরাধনা সিনেমাতে রাজেশ খান্নার হিরোইন হিসেবে দেখা যায় শর্মিলাকে। আবার সেই সিনেমার একটা পার্টেই রাজেশ খান্নার মা হিসেবে দেখা যায় তাকে। ‘সাদা চুল, বয়স্ক সাজতে অনেক মেকআপ! আর সেই সময় তার বয়স মাত্র ২৬ বছর।
সোহা আলি খান আরও জানান যে, ভিন ধর্মে বিয়ে, তাও আবার মাত্র ২৪ বছর বয়সে, ফলে শর্মিলাকে শুনতে হয়েছিল নিজের ক্যারিয়ার শেষ করছেন তিনি। ‘প্রফেশনাল সুইসাইড’ বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়েছল এই সিদ্ধান্তকে।
‘মা সবসময় নিজের শর্তে বেঁচেছেন। নিজে যা করতে চেয়েছেন, তাই করেছেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করেন আমার বাবাকে। সেই সময় লোক বলতেন, ‘এ তো প্রফেশনাল সুইসাইড। তুমি কীভাবে এটা করতে পারো!’ আমার মায়ের জবাব থাকত, ‘আমার কিছু যায় আসে না। আমি এটাই করব’। মা কিন্তু এরপরও টানা কাজ করে গিয়েছেন।