অনলাইন ডেস্ক : এমন একটা সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা ছিল ৮৬৪ দিন। মাসের হিসেবে ২৮ মাস ১২ দিন। বছর ধরলে ২ বছর ৪ মাস ১২ দিন। সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে বহু আরাধ্য এক সেঞ্চুরি বললে অত্যুক্তি হয় না। ২০২২ সালের ১৭ই ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম কোনো বাংলাদেশি ওপেনার টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।
২০২২ সালে ওপেনারদের কাছ থেকে সেঞ্চুরি হয়েছিল মোট ৩টি। এপ্রিলে মাহমুদুল হাসান জয় সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি এসেছিল তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। আর ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন জাকির হাসান। সেটাই শেষ। মাঝে ২০২৩ এবং ২০২৪ সাল মিলিয়ে আর কোনো ওপেনারই সেঞ্চুরি পাননি।
অবশেষে সেই খরা কাটলো সাদমান ইসলামের ব্যাটে চড়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে গড়েছেন ১১৮ রানের জুটি। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিং পার্টনারশিপ বিবেচনায় যা বাংলাদেশের ১৫তম শতরানের জুটি।
সাদমান ফিফটি পেয়েছিলেন লাঞ্চের আগেই। শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে আসছিল বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত ১৪২ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। এটা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিটাও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। সেটা ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে।
এরপর তিনটা ফিফটি করেছেন সাদমান। গেল ২৮ মাসে ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটাও খেলেছিলেন তিনিই। গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে থামতে হয়েছিল ৯৩ রান করে। খরা কাটানোর সেঞ্চুরিটা হয়ত তারই প্রাপ্য ছিল। আর সেই সঙ্গে পেলেন আরও একটা মাইলফলকের দেখা। এই সেঞ্চুরির পথেই টেস্ট ক্যারিয়ারে ১ হাজার পূরণ করেছেন সাদমান।
সাদমানের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ দলও এখন পর্যন্ত আছে কক্ষপথে। এনামুল বিজয় ৩ বছর পর ফিরে ৩৯ রানে আউট হলেও মুমিনুলকে নিয়ে ঠিকই রানের চাকা সচল রেখেছে স্বাগতিকরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান।
১১৮ রানে অপরাজিত থাকা সাদমান পৌঁছে গিয়েছে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানে। আর ২৭ রানে অপরাজিত আছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে আছে ৪১ রানে।