স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ভোটের মাঠে উত্তেজনা থাকেই। উত্তেজনার মধ্যেই সব কাজ করতে হবে। যখন যে পরিস্থিতি আসে তা মোকাবিলা করতে হবে। অধৈর্য হলে চলবে না। শুক্রবার রাজশাহীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন, এমন একাধিক লিখিত অভিযোগের পরও রির্টানিং কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ইসি রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা অ্যাপ্রিহেনশন। এটা ঘটে গেছে বা ঘটবেই এরকম কিছু না। ভোটের মাঠে এরকম অ্যাপ্রিহেনশন থাকেই। কাজেই অধৈর্য হওয়ার কিছুই নাই। আর ভোটের মধ্যে এরকম উত্তেজনা তো থাকেই। ভোটে উত্তেজনা নাই-এরকম তো আমি আমার লম্বা জীবনে দেখি নাই। উত্তেজনার মধ্যেই সব কাজ করতে হবে। যখন যে পরিস্থিতি আসবে, তা মোকাবিলা করতে হবে।’
রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থীর নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। একশ’র বেশি কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন। তারাই ভোটারদের কেন্দ্রে আনবেন। নির্বাচন কমিশন চায় বাধাহীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এ জন্য সকল প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। তবে কেউ ভোটারদের বাধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে বেলা ১১টায় নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রিসকাইডিং কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাশেদা সুলতানা। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় এ আয়োজন করে। সভায় প্রিসাইডিং অফিসারদের সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলাসহ নানা দিকনির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার।
সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, রাজশাহী নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।