তানোর প্রতিনিধি : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এখনই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে ডেঙ্গু মহামারি সমস্যায় রূপ নিতে পারে। তবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করে অল্প দিনেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ জন্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ হলরুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এবং উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাসদার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন।
ইউএনও বিল্লাল হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু রোগকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে এ বিষয়ে তা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ডেঙ্গু রোগের বিস্তার থেকে পরিত্রাণ পেতে একটু সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনাও জরুরি। আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কেবলমাত্র আমরা সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও তিনি জানান।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে আয়োজিত ওই সভায় বেশকিছু কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী : (১) তানোর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এবং তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়রগণ ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাবেন, (২) পৌরসভার ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ও হাট-বাজারের চারপাশে পরিস্কার পরিছন্নতা অভিযান চালাতে হবে, (৩) ইউনিয়ন পরিষদের এবং তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরসভার যে সকল নালা ও নর্দমাসহ পানি জমে মশার লার্ভা সৃষ্টি হতে পারে সেগুলো পরিস্কার রাখতে হবে, (৪) জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক অথবা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে এবং (৫) সকল সরকারি দপ্তরের চারপাশ পরিস্কার রাখতে হবে যেন মশার লার্ভা সৃষ্টি না হয়।
এ সময়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, পৌরসভার প্রতিনিধিগণ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন মাঠকর্মীগণ ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।