চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮০-৮৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গার রশিকনগর গ্রামের সাবেক উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাতটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল আবদুল বারি, নজরুল ইসলাম ও মাহফুজ হক আহত হয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান সেন্টু, মাইনুল ইসলাম মুকুল, আনারুল ইসলাম, কামাল উদ্দীন, তারিফুল ইসলাম, সাইরন ইসলাম, তাজেরুল ইসলাম, হারুন অর-রশিদ, মবিনুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল হক বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। বিষয়টি জানানোর জন্য ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে থানার গোয়েন্দা (ডিএসবি) সদস্যদের জানানো হয়। তাঁদের সামনেই আমাদের সভা চলছিল। পরে মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় হঠাৎ গিয়ে সভা ভেঙে দেয় থানার পুলিশ।’
সাবেক সভাপতি আরও বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত নয়। আমি এখনো পুলিশের আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছি।’
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা অনুমতি ছাড়ায় গোপনে সভার আয়োজন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাঁরা হামলা চালান। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, হামলার পর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল হকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে রাখা সাতটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিহাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার সকালে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।