স্টাফ রিপোর্টার: রমজানের শুরু থেকে রাজশাহীতে রয়েছে তাবদাহের দাপট। প্রথম রমজানে রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাই এবার ইফতারিতে আখের রস ও মাঠার চাহিদা বেড়েছে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে মাঠা ও আখের রস। আখের রস সহজলভ্য ও হাতের নাগালে পাওয়া যায় বলে রোজাদাররা কিনছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগর ও আশপাশের উপজেলায় তাবদাহ বাড়ায় আখের রস খাচ্ছিলেন মানুষ। এরমধ্যে শুরু হয়েছে রোজা। ফলে রমজানে আখের রস ও মাঠার আরও জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে শুক্রবার দুপুর থেকে মানুষকে মাঠা কিনতে দেখা যায়। প্রতি লিটার মাঠা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষকে মাঠা কিনতে দেখা যায়।
মাঠা বিক্রেতা বিজয় ঘোষ বলেন, ব্যবসায়ীরা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোজার সময় বেশি মাঠা উৎপাদন করেন। রমজানে এ মাঠার চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রোজার শুরুতেই মাঠা বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
এদিকে বছরজুড়ে আখের রস বিক্রি হলেও রোজার সময় এর চাহিদা যায়। এটি শুধু বাজারেই নয় পাড়া মহল্লাতেও বিক্রি হয়। কারণ প্রচণ্ড গরমে আখের রসের চাহিদা অনেক বেশি। এটিও অনেক রোজাদারদের জন্য ইফতারিতে অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণ।
রাজশাহী স্টেশন বাজারে আখের রস বিক্রি করছেন আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, সকাল থেকে রসের চাহিদা রয়েছে। প্রতি গ্লাস আখের রস বিক্রি হয় মাত্র ১৫ টাকায়। এক লিটার রস বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
রাজশাহীর নিউ মার্কেট এলাকা থেকে আসের রস কিনছিলেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রমজানে ইফতারে জুসের ও শরবতের বিকল্প হিসেবে আমরা আসের রস খাই। এবারও কিনেছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি। আগে আখের রস ৫০ টাকা লিটার বিক্রি হতো। এবার ৭০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, রাজশাহীর আকাশ পরিষ্কার আছে। এখনও বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে। তবে বাতাসে আর্দ্রতার বেশি থাকার কারণে তাপ কিছুটা কম মনে হচ্ছে।