স্টাফ রিপোর্টার: এখন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রার ১০দিন পূর্বেই ক্রয় করা যাবে টিকিট। যাত্রীদের সুবিধার্থে শনিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর আগে পাঁচদিন পূর্বে পাওয়া যেত অগ্রিম টিকিট। নতুন নিয়মে রাজশাহী রেলস্টেশনে টিকিট কাটার লোক নেই বললেই চলে। যাত্রার ১০দিন আগের টিকিট কেনার তাড়া নেই। তবে আগের মতোই ৩-৪দিন আগের টিকিট কাটছেন যাত্রীরা। সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অগ্রিম এ টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। তবে ১ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত কাউন্টার ও অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। আগামী ১৭ ই এপ্রিল থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তখন আর কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে না। শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনেই। কেবলমাত্র স্টান্ডিং টিকিট মিলবে কাউন্টারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী রেলস্টেশন টিকিট কাউন্টারে কর্মরত এক কর্মচারী শনিবার দুপুরে জানান, এখন পর্যন্ত ১০দিন আগের টিকিট প্রত্যাশী পাওয়া যায় নি। এর অন্যতম কারণ, ১০ দিন আগের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে-এটি বেশির ভাগ যাত্রীই জানেন না। কর্তৃপক্ষ তেমন প্রচার-প্রচারণা চালায়নি। এজন্য টিকিটের চাহিদাও তৈরি হয়নি বলে জানা তিনি।
রাজশাহী রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে। প্রতিবারের মতো ঈদ উপলক্ষে কাউন্টারে ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি আর হবে না। তবে কাউন্টার থেকে সিটবিহীন টিকিট পূর্বের নিয়মে বিক্রি হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রাজশাহী থেকে এখনো টিকিট কাটার ধুম পড়েনি। নতুন নিয়মের কারণে ট্রেনের টিকিট এখন সহজে পাচ্ছেন ক্রেতারা। কয়েকদিন ধরে রাজশাহী-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের বহু আসনই খালি যাচ্ছে। আর রাজশাহী থেকে ঈদে ঘুরমুখো যাত্রীদের ভীড় কম থাকে। তবে ঈদের পর ফিরতি টিকিটের চাপ থাকে বেশি।