বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

জনগণের মুখোমুখি হতে বিএনপির ভয়

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। তারা জনগণের রায়ের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে। তাদেরকে অনেকবার নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতা বলেছেন, আমাদের জায়গা থেকে আমিও বলেছি। কিন্তু তারা নির্বাচনে না এসে আবারো ২০১৪/২০১৫ সালের জ্বালাও-পোড়াও এর মতো অবস্থা তৈরি করতে চাচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লিটন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরাতন খেলা আবার খেলছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। তাদের শর্ত মেনে নিলে তারা নির্বাচনে আসবে। তাদের শর্ত মানার মতো নয়।’

বিএনপির শর্ত অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের শর্ত মামার বাড়ির আবদার বলে জাতির কাছে মনে হচ্ছে। তাদের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অথচ সংবিধান বলছে, তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে দিয়েছে তত্ত্ববধায়ক সরকারের আর প্রয়োজন নেই। ভারত, ইংল্যান্ড সহ উন্নত দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হয়। সেইভাবেই সরকার হবে, তার প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি উন্নত, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়। আমরা এখন যথেষ্ট উন্নত। আয়ের দিক দিয়েও একট পর্যায়ে পৌছে গেছি। আমাদের কাউকে মাঝখানে রেখে ভোট করতে হবে সেই বাস্তবতা নেই।’

খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে আসেনি। এরপর তারা জ্বালাও- পোড়াও আন্দোলন করেছে, মানুষের সর্বনাশ করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যারা অগ্নিদদ্ধ তারা বুঝছে পুড়ে যাওয়ার কষ্ট। তারা আবারো মানুষকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূর রাখতে চায়। সেটি কি সম্ভব? ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধ করতে পেরেছিলেন? পারেননি। নির্বাচন থেমে থাকেনি। এবারো থেমে থাকবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা সংসদে গিয়ে সরকার গঠন করবে-সেই নির্বাচন তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সঠিক হবে? নাকি জিয়াউর রহমানের যে হ্যাঁ/না ভোট ছিল। যে ভোটে জিয়াউর রহমান কোন কোন ভোটকেন্দ্র্রে শতভাগের বেশি ভোট পেয়ে যায়। বিশাল মাপের কারচুপি, ভোট বাক্স শুধু ধানের শীষে ভর্তি হয়ে থাকবে, সেই রকম ভোট কী তারা চান?। সেই দিন আর কোনদিন আসবে না। কারণ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যথেষ্ট ভালো আছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. বদরুজ্জামান রবু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র একেএম আতাউর রহমান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য একরামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড মকবুল হোসেন খান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com