রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

টেন্ডুলকারের ছবি ব্যবহার করে মেদ-কমানোর পণ্যের বিজ্ঞাপন, সাইবার পুলিশে মামলা

অনলাইন ডেস্কঃ কোনোটি মেদ পোড়ানোর স্প্রে, কোনোটি আবার মেদ গলানোর। আছে ‘বেলি বার্নার’ তেলও। মেদ কমানোর এ সব পণ্যের স্থিরচিত্রে মডেল হয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। শুধু ছবিতেই নয়, ইনস্টাগ্রামে একটি অডিও বিজ্ঞাপনে কণ্ঠও দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি। কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেল, তাদের ‘বিশেষজ্ঞ দলে’ও আছেন টেন্ডুলকার। পণ্যগুলোর সঙ্গে আকর্ষণীয় উপহার হিসেবে আছে টেন্ডুলকারের সই করা বিশেষ টি-শার্ট।

শচীন টেন্ডুলকারের নাম, ছবিকে সামনে রেখে এভাবেই ব্যবসা করে আসছিল মুম্বাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি কোম্পানিটির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। বিষয়টি নজরে আসার পর সাইবার পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন শচীনের ব্যক্তিগত সহকারী রমেশ পারধে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্যতা পেয়ে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট এক অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে ‘প্রতারণা, জালিয়াতি ও সম্মানহানি’র দায়ে মামলা নথিভুক্ত করেছে বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স সাইবার পুলিশ।

গত ৫ মে ফেসবুকে শচীনের নামে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখার কথা উল্লেখ করে পারধে অভিযোগের বিবরণে লিখেছেন, ‘বেলি বার্নার তেলের বিজ্ঞাপনে শুধু ছবিই ব্যবহার করা হয়নি, শচীন টেন্ডুলকার রিকমেন্ডেডও লেখা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের লিংকে ক্লিক করার পর শায়লা হেলথ নামে একটি কোম্পানির সাইট চলে আসে। আমি কোম্পানিটির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও খুঁজে দেখি।’

পারধে জানান, কোম্পানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এমন এক বিজ্ঞাপন দেখতে পান, যেখানে টেন্ডুলকারের নকল কণ্ঠে পণ্যের প্রচারণা করা হচ্ছিল। কোম্পানির ওয়েবসাইটে পণ্যের তালিকায় শচীনের ছবি আছে, সঙ্গে মেদ গলানোর স্প্রের বিবরণ।

এ বিষয়ে আরও খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে একই কোম্পানির আরেকটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া যায় বলে লিখেছেন পারধে। তিনি জানান, দ্বিতীয় সাইটটিতেও শচীনের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, শচীন পণ্যগুলো ব্যবহারের পরামর্শও নাকি দিয়েছেন। একটি বিজ্ঞাপনে আছে, পণ্যটি কিনলে টেন্ডুলকারের সই করা টি-শার্ট উপহার দেওয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস অভিযুক্ত কোম্পানিটির ওয়েবসাইট খুঁজে দেখেছে। সাইটে কোম্পানিটির ‘আমাদের সম্পর্কে’ অংশে দাবি করা হয়, তাদের বিশেষজ্ঞ দলে শচীন যুক্ত আছেন। ‘শচীন হেলথ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম’ নামের একটি রেফারেল প্রোগ্রামও চালু আছে। আর প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে আছে শচীনের ছবি।

মহারাষ্ট্র পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাইবার) বালসিং রাজপুত কোম্পানিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বলেন, ‘এই পণ্যগুলোর সঙ্গে শচীন কোনোভাবেই জড়িত নন। কোম্পানিটি শুধু শচীনের সুনামেরই অপব্যবহার করছে না, গ্রাহকদের সঙ্গেও প্রতারণা করছে।’

প্রতারকদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে শচীন রমেশ টেন্ডুলকার স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যা গতকাল টেন্ডুলকারের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ারও করা হয়।

সর্বাধিক পঠিত