রবিবার, মে ৫, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবলের হেরোইন বিক্রির অডিও ফাঁস

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে নারী মাদক কারবারির কাছে পুলিশের হেরোইন বিক্রির একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর নাম মাহফুজুর রহমান মাহফুজ। তবে মাহফুজ এই কণ্ঠ তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন।

৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ফাঁস হওয়া অডিও কল রেকর্ডে এক নারীর কাছে পুলিশ কনস্টেবলকে মাদক বিক্রির প্রস্তাব দিতে শোনা যায়। এ ছাড়া ওই নারী কারবারিকে মাদক কারবার চালিয়ে যেতে উৎসাহী করেন তিনি।

সম্প্রতি কনস্টেবল মাহফুজ ফোন করে কথা বলেন নগরীর রাজপাড়া থানার বাঁকির মোড় এলাকার সেলিমের স্ত্রী উম্মে খাতুনের সঙ্গে। তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি ও চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাঁদের দুজনের কথোপকথনের অডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ওই ভাবি, ৩ গ্রাম জিনিস (হেরোইন) আছে নেবেন?’ অপর প্রান্তে থাকা নারী মাদক কারবারি জবাবে বলছেন, ‘জিনিস দিয়ে আবার ধরবেন না তো আমাকে?’ জবাবে মাহফুজ বলছেন, ‘আরে না, ধরব না। ওই জিনিস নেবেন, নিলে দিয়ে দিব। নিলে একা আসেন।’ জবাবে নারী বলেন, ‘দোকানে কেউ নাই, বেটা আসলে একাই আসছি।’

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে উম্মে খাতুনের ছেলে সম্রাট এটি তাঁর মায়ের কণ্ঠ নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডিবি পুলিশের মাহফুজ তিন দফায় আমাদের কাছে হেরোইন বিক্রি করেছেন। যে অডিও ফাঁস হয়েছে ওই দিন তিন গ্রাম হেরোইন বিক্রির জন্য ফোন করেছিলেন। এর আগে তিনি ১৪ গ্রাম হেরোইন বিক্রি করেছেন।’

তবে হেরোইন বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে ফাঁস হওয়া অডিওর কণ্ঠ তাঁর নয় বলে দাবি করেন কনস্টেবল মাহফুজ। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য না। অডিওর বিষয়টি ডিসি স্যার জানেন। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ডিবি পুলিশের সূত্রমতে, তিন বছর ধরে কনস্টেবল মাহফুজ ডিবি পুলিশে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশে কর্মরত থাকায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে উঠেছে। ফলে নিজেই মাদক কারবারের অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, কনস্টেবল মাহফুজের ফাঁস হওয়া অডিওসহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বাধিক পঠিত