স্টাফ রিপোর্টার: দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৬ জন শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। রোববার রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত এই তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এই তালিকায় রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি; ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী আবু বকর কিনু; শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. টুটুল; শাহমখদুম থানার সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুস সোবহান লিটন; নগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বেলাল হোসেন একই ওয়ার্ডের প্রার্থী ও নগর যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুলের নাম রয়েছে।
এছাড়া নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুজ্জামান টিটো; ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী মির্জা রিপন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ২৭ নম্বরের প্রার্থী আনোয়ারুল আমিন আজব, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফুল হাসান বাচ্চুর নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মহানগর মহিলা দলের পাঁচ নেত্রীও অংশ নিয়েছেন। ব্যবস্থা নিতে তাদের নামের তালিকাও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রে। এই পাঁচজন হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মুসলিমা বেগম বেলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আলতাফুন নেসা পুতুল; যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সামসুন নাহার; সহসভাপতি ও ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শাহানাজ বেগম শিখা এবং যুগ্ম সম্পাদক ও ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আয়েশা খাতুন মুক্তি।
এই ১৬ জনের মধ্যে আবদুস সোবহান লিটন, বেলাল হোসেন, আনোয়ারুল আমিন আজব ও আশরাফুল হাসান বাচ্চু বর্তমান কাউন্সিলর এবং মুসলিমা বেগম বেলী ও সামসুন নাহার সংরক্ষিত নারী আসনের বর্তমান কাউন্সিলর। নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি বেলী দল থেকে পদত্যাগ করেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। দলের এমন সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের যেসব নেতা রাজশাহী সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাদের তালিকা কেন্দ্র থেকে চাওয়া হয়েছে। আমরা তালিকা করে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাদের ব্যাপারে এখন কেন্দ্র থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’