বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে তাহের হত্যার ফাঁসির আসামি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাকে কারাগার থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও অপর ফাঁসির আসামি জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। এ রায় সংক্রান্ত সব আইনগত প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কোন বাধা নেই। চলতি মাসেই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে। এ অবস্থায় বুকে ব্যাথার কারণে কারা কর্তৃপক্ষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করল।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এফএম শামীম আহমেদ জানান, মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে প্রথমে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে থাকা প্রিজন সেলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, সকালে রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাকে দ্রুত কারা হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রিজন সেলে তার চিকিৎসা চলছে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হন অধ্যাপক তাহের। ম্যানহোল থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের আত্মীয় আব্দুস সালামকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

আপীলে দুই আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তবে অন্য দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com