স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে নির্বাচনী সহিংসতায় না জড়ানোর শপথ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৪০ জন মানুষ। শনিবার দুপুরে রাজশাহীতে ‘ধর্মীয় নেতা ও নাগরিকদের সঙ্গে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তারা এ শপথ গ্রহণ করেন। নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষায় শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এই আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হয়।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সহযোগিতায় খুলনার বেসরকারী সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পোর’স পার্টনার ফর স্যোশাল অ্যাডভান্সমেনট-রূপসা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং মুসলিম, হিন্দু ও খ্রীস্টান ধর্মের ধর্মীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
সংলাপে মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, সবাই নিজ নিজ ধর্মটাকেই অন্য ধর্মের চেয়ে বড় মনে করে। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা করলে কোন সহিংসতাই ঘটবে না। এ জন্য পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। ইদানিং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই যে কোন পোস্টের সত্যতা না জেনে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঠিক থাকবে।
সংলাপ পরিচালনা করেন রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মণ্ডল। তিনিই সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচনী সহিংসতায় না জড়ানোর শপথ করান। সংলাপে প্যানেল আলোচক ছিলেন- রাজশাহীর কাশফুল কোরআন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাওলানা মো. মোস্তাক আহম্মদ, রাজশাহী পুরোহিত সোসাইটির সভাপতি অশোক সান্যাল, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের বিভাগীয় প্রচার সম্পাদক সুরেশ চক্রবর্তী ও রাজশাহী চার্চের পালক ইফরাইম হেমব্রম।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন- জেলা পরিষদের সদস্য দীলিপ কুমার সরকার, সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম, বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা মামুন, শিক্ষার্থী তামান্না তাবাসসুম ইরানী, সাংবাদিক রিমন রহমান, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।