বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) মেধাবী
শিক্ষার্থী সায়মা আরভী ইভার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায়
তাঁর স্বামী নাজমুল মাহমুদ পলাশকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
পলাশের বাড়ি রাজশাহী নগরীর কর্ণহার থানার দেবেরপাড়া
গ্রামে। মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার
চিটাগাং রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৫
এর রাজশাহীর সিপিএসসি এবং নারায়ণগঞ্জের র‌্যাব-১১ এর সদর
কোম্পানী যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
বুধবার বিকালে র‌্যাব-৫ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়েছে, রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬
শিক্ষার্থী ছিলেন সায়মা আরবী ইভা। মাস্টার্স পরীক্ষায় তিনি
তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি
পারিবারিকভাবে শাওন নামের এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে দেওয়া
হয়। পরদিন বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ জন্য
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি পার্লারে বিয়ের সাজ
সাজতে যান সায়মা।
পার্লার থেকে ফেরার পথে সাবেক প্রেমিক নাজমুল মাহমুদ পলাশ
তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে তাকে জোর করে ওই রাতেই বিয়ে
করেন। এরপর ওই রাতেই তাকে তার বাড়িতে ফেলে রেখে যায়। ইভার
পরিবার ব্যাপারটি জানতে পেরে তারা এই বিয়ে মেনে নেন এবং
আগের বিয়ে ভেঙে দেন। কিন্তু আসামি পলাশ পরে ইভাকে আর
গ্রহণ করতে রাজি হননি।
ফলে ইভা ও তার পরিবার বিভিন্নভাবে সামাজিকভাবে হেয়-
প্রতিপন্নের শিকার হন। মেধাবী শিক্ষার্থী ইভা এ অপমান সহ্য
করতে না পেরে ১৯ জানুয়ারী রাতে তার বাবার হাইপার টেনশনের
ওষুধ অতিমাত্রায় সেবন করেন। এতে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে
তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জানুয়ারি ভোরে তিনি মারা যান।

এ নিয়ে ইভার মামা আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তভার
দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
পিবিআই তদন্ত করে ছয়জন আসামির নামে অভিযোগপত্র দাখিল
করে। গত ৩ জুলাই রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইবুনাল-১ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
করেন। এরপর পাঁচ আসামি জামিন নিলেও পলাশ পলাতক ছিলেন।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর পলাশকে রাতেই রাজশাহী আনা হয়।
এরপর তাকে কর্ণহার থানায় সোপর্দ করা হয়। বুধবার তাকে
আদালতে তোলে পুলিশ। এ সময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com