সোমবার, মে ২০, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

প্যান্ট কেনাবেচা নিয়ে কথা-কাটাকাটি, ব্যবসায়ীকে হত্যা

সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপি : একটি জিনস প্যান্ট কেনাবেচা নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির জেরে তাঁত ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেনকে কুপিয়ে এবং দেহ থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবের কাছে এ তথ্য জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি।

আজ বৃহস্পতিবার পাবনা সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর এ হত্যার প্রধান আসামি বাবলু ব্যাপারীকে (৪২) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব। তাঁকে সকালে সদর থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে জেলার সাঁথিয়া উপজেলার চৌবাড়ীয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবলু সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের জালালপুর নতুনপাড়া গ্রামের মৃত মুছা ব্যাপারীর ছেলে।

পাবনায় ব্যবসায়ী যুবকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধারপাবনায় ব্যবসায়ী যুবকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার

গ্রেপ্তারকৃত বাবলুর বরাত দিয়ে হত্যার কারণ সম্পর্কে র‍্যাব জানায়, গত ৯ জুলাই জালালপুর বাজারে একটি জিনস প্যান্ট কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে নিহত ইলিয়াস ও গ্রেপ্তার বাবলুর মধ্যে কথা-কাটাকাটি আর হাতাহাতির জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বাবলু। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

র‍্যাব ও স্থানীয়রা বলছে, গ্রেপ্তারকৃত বাবলু ব্যাপারী আগে চরমপন্থী সংগঠন লাল পতাকার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন চরমপন্থীদের সঙ্গে তিনিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার করেছিলেন। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করে আসছিলেন বাবলু ব্যাপারী।

র‍্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান জানান, গত ৩১ জুলাই ধোপাঘাটা গ্রামে একটি খেতের পাশ থেকে ইলিয়াস হোসেন নামের এক তাত ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার হয়। ইলিয়াসের মাথা ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত করা হয় এবং তার দুই পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনার পরদিন (১ আগস্ট) সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের পর বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র‍্যাব। অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বাধিক পঠিত