স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীর সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা প্রকল্প, ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার শীর্ষক প্রকল্পসহ পাঁচটি চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩১ ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিককে ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভূমি মালিকদের হাতে চেক তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা-প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয়-সরকার উপপরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আনিসুল ইসলাম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর অয়ন ফারহান শামসসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ করলে ওই এলাকায় প্রকৃত মূল্যের তিনগুণ টাকা ভূমি মালিককে দেয়া হয়। সে সময়ে দলিলে মূল্য কম থাকলে কম পাবেন।
সেজন্য জমি ক্রয় করে প্রকৃত মূল্য দলিলে উল্লেখ না করা পর্যন্ত ভূমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দলিলে স্বাক্ষর না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কেউ কোনো প্রকারের টাকা দাবি করে থাকলে তা সরাসরি জেলা প্রশাসককে অবহিত করার জন্যও নির্দেশনা দেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ তাদের জমি সরকারকে দিয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা প্রকল্প সহ পাঁচটি চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩১ জন ভূমির মালিক।
আজকে তাদের হাতে ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য যদি কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করে তাহলে সরাসরি জেলা-প্রশাসককে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।