রবিবার, মে ১২, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করলেন ভাইস চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মনির মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইউপি সদস্যের নাম রফিক আহাম্মদ। তিনি হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। হামলার পর প্রথমে তাকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

আহত রফিক আহাম্মদের স্ত্রী সাজেদা আক্তার সাজু জানান, তার স্বামী ইফতারের পর মনির মার্কেটের কামাল স্টোর নামে দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন। সেই সময় সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম ও তার স্বজনরা রফিককে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। এ সময় দুটি দোকানে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর চালায় তারা।

কামাল স্টোরের মালিক শামসুল আলম জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলমের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী তার দোকানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে ও ক্যাশ থেকে নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, রুমখাবাজার শ্মশানের সংস্কার কাজ করার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক বাধা দেয়। সেই সময় আমাকেও মারধর করে। আমার পান্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। আমি ছেঁড়া পান্জাবি পরে বাসায় গেলে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে রফিককে মারধর করে। এ সময় আমার লোকজনকেও রফিকের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনায় আমার ভাতিজা উখিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর, আমার বড় ভাই নুরুল আলম, ভাতিজা শাকিল মোস্তফাসহ ১১ জন আহত হয়েছে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার চাচা সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম বাসা থেকে বের হয়ে মনির মার্কেট এলাকায় গেলে সন্ত্রাসী রফিক মেম্বার ও তার বাহিনী হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে মেম্বারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।

উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম আহমেদ জানান, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মনির মার্কেট এলাকায় স্থানীয় মেম্বার রফিকের সঙ্গে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের মারামারি ঘটনায় উভয়পক্ষ এজাহার জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত