সোমবার, মে ২০, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

রাজশাহীকে অনুসরণ করবে দেশের সকল শহর : লিটন

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমি রাজশাহীকে তিল তিল করে গড়ছি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে রাজশাহীর নাম পৌঁছে গেছে। নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইসিটি বিভাগের অনুপ্রেরণায় আগামী ২ বছরে মাঝে রাজশাহী বাংলাদেশের ১ম স্মার্ট সিটি হতে যাচ্ছে। রাজশাহীর আরোও ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। রাজশাহীকে অনুসরণ করবে দেশের সকল শহর।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর বাটার মোড় জয় বাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। বিশ্বের উন্নত অনেক দেশ স্বীকার করেন তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি জানেন কীভাবে রাজনীতি করতে হয়, কীভাবে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে হয়, তিনি জানেন কীভাবে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হয়, উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে হয়। তিনি তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, আমরা তাঁর সৈনিক।’

এই সভা থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, গত ৯ মার্চ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে যে স্থানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, সেই স্থানটিকে ‘পবিত্র’ করা হবে। এ জন্য সেখানে ইসলামী জালসার আয়োজন করে দোয়া-কালাম পড়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহীর আওয়ামী লীগকে ‘রাহুমুক্ত’ করার ঘোষণা দেন। আর রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেন। বৃহস্পতিবারের আলোচনা সভায় এসবের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘একজন কিছু একটা হয়ে গেছেন, তাকে সংবর্ধনা দিতেই পারেন। লোক ভাড়া করে আনা হলো, সাহেববাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণটিকে কলুষিত করা হলো। সংগঠনের নামে আমরা দেখলাম অন্যকে গালাগালি করে ছোট করার অপপ্রয়াস করা হলো।

এমপি ওমর ফারুক-চৌধুরীর প্রতি ইঙ্গিত করে লিটন বলেন, ‘দেখলাম, সেই মঞ্চে যার গায়ে ফ্রিডম পার্টির গন্ধ, যার গায়ে ছাত্রদলের গন্ধ, যার পরিবারে এখনও স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষের চলাচল আছে, যার নিজের এলাকায় তাকে গডফাদার বলা হয়, কীসের গডফাদার আমি সেটা বলতে চাই না। তিনি ঘোষণা করলেন- রাজশাহীর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হলো। আরে উনি তো নিজেই ছাত্রদল ফ্রিডম পার্টি করে এসেছে, উনি আবার আ’লীগকে রাহুমুক্ত করবেন কীভাবে! আমরা জন্মগতভাবে রক্তে দিয়েই আওয়ামী লীগ করি।’

লিটন বলেন, ‘আমরা মনে করি, বড় মসজিদ প্রাঙ্গন সেটাকে কলুষিত করার জন্য সেখানে মিলাদ দিয়ে পবিত্র করা দরকার। আমরা সেটা করতে চাই। ঈদের পরেই আমরা সেখানে ইসলামী জালসা দিয়ে মওলানাদের ডেকে এনে, দোয়া-কালাম পড়িয়ে পবিত্র করতে চাই। কারণ, কিছু রাজাকার, কিছু বিএনপি, জনগণের ভোটে তারা কতটুকু এগিয়ে আছেন আমি সে প্রশ্নে যাব না। তারা ওখানে বড় বড় কথা বলে আমাকে, আমাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।’

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে কিছু রাজাকারশাবক রাজশাহীকে অশান্ত করতে এসেছিল। তারা খায়রুজ্জামান লিটনের পায়ের নিচে বসে নেতা হয়েছে। যারা কয়দিন আগে জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়েছে, তারা এখন নোংরা কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। রাজাকারশাবকদের বলব, যদি সাহস থাকে, ক্ষমতা থাকে কোথায় সমাবেশ করবেন জানাবেন। সেখানে গিয়ে ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই আপনাদের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই।’

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘লিটনকে ছোট করে কেউ যদি মনে করেন বড় হবেন, তাহলে তিনি আহাম্মুক। এখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকারীদের উৎখাত করব।’ রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক ও রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক এমপি ডা. মনসুর রহমান ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এনামুল হক বলেন, ‘গাছের থেকে পরগাছা বড় হয়ে গেছে। তারা মূল গাছ সম্পর্কে কটূ কথা বলছেন। তাদের বলব শিষ্টাচার মেনে রাজনীতি করুন নইলে পালাবার জায়গা পাবেন না। তিনি ‘আগাছা’ দূর করে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি করার অনুরোধ জানান।

মহানগর আ’লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী-কামাল বলেন, ‘বাংলার মাটিতেই মীরজাফর-মোস্তাকের জন্ম হয়েছে। রাজশাহীতে কেনো নতুন করে এদের জন্ম হবেনা? জন্ম হয়েছে, আমরা প্রতিহত করব।’ জেলার সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, ‘সংবর্ধনার মঞ্চ থেকে কালাম (এমপি আবুল কালাম আজাদ) আমাকে গালি দিয়েছেন। কোন ভদ্র-শিক্ষিত মানুষ এটা করেন না। এর বিচারের ভার আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরই দিলাম।’

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার সভাপতি অনিল কুমার সরকার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও রাজশাহী জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মুনসুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক-সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাড. শরিফুল ইসলাম শরিফ, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী,

জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজবুল ইসলাম, মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল মোমিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক আসাদুল্লা হিল-গালিব, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক ডা. সিরাজুল মুবিন সবুজ।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আ’লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত-হোসেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর-সদস্য আরিফুল হক কুমার, মজিবুর রহমান মন্ডল, সাবেক-সংসদ সদস্য রায়হানুল হক, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান-মাঞ্জাল, জেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান রবু, আব্দুল মজিদ, মহানগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক-সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল,

কৃষি-বিষয়ক-সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক-সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক-সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক-সম্পাদক জাহিদুল ইসরাম জাহিদ, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক-সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম-সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক-সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ.ম.আ জাহিদ,

জেলা আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া-সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক-সম্পাদক মেহবুব হাসান-রাসেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক-সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার, মহিলা বিষয়ক-সম্পাদিকা এ্যাড. পূর্ণিমা ভট্টাচার্য, বীর-মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, মহানগর আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য-এ্যাড. মোজাফফর হোসেন, মোশফিকুর রহমান-হাসনাত, নজরুল ইসলাম-তোতা, হাবিবুর রহমান-বাবু, শাহাব উদ্দিন, হাফিজুর রহমান বাবু, আতিকুর রহমান-কালু, বাদশা শেখ, আব্দুস সালাম, ইউনুস আলী, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান,

জেলা আ’লীগের সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু, গোলাম রাব্বানী, প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, এস.এম তৌহিদ হাসান তুহিন, থানা আ’লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ-সম্পাদক শেখ আনসারুল হক-খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ-সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ-সম্পাদক আলাউদ্দিন, ভবানীগঞ্জ পৌর-মেয়র আব্দুল মালেক, নগর শ্রমিক-লীগ সভাপতি আকতার আলী, নগর-কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ-সম্পাদক ওয়াজেদ আলী, নগর মহিলা আ’লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ-সম্পাদক কানিজ ফাতেমা-মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ-সিয়াম, সাধারণ-সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন-নিলু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি বাবু, রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি লতিফ, সাধারণ-সম্পাদক সৌমিক সাহা প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত