সোমবার, মে ৬, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

অবৈধ ইটভাটায় বিপন্ন পরিবেশ

কুন্তল বিশ্বাস : গ্লোবাল ওয়ার্মিং যখন সারা বিশ্বেই এক প্রকট সমস্যা, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে যখন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছেন পরিবেশবিজ্ঞানী থেকে শুরু করে দিকপাল সব রাষ্ট্রনেতা, তখন আমাদের আশেপাশেই পুরোদমে চলছে দূষণ! পরিবেশ নিয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য দেশ জুড়ে লাগাতার প্রচারের মাধ্যমে নিরন্তর চেষ্টা চলছে, হচ্ছে এ-সংক্রান্ত মিটিং-মিছিল, গড়ে উঠছে জনমত। কিন্তু তবুও যেনো লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছেনা দূষণের। তন্মধ্যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও বায়ু দূষণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে যে নিয়ামক, তার নাম ‘ইটভাটা’। সভ্যতার আধুনিকায়ণ ও নগরায়ণের উদ্দেশ্যেই গড়ে ওঠা এই ইটভাটা এখন সভ্যতার ধ্বংস সম্ভাবনার অন্যতম কারণ।
আধুনিক সভ্যতা গড়ে ওঠার অন্যতম উপাদান হলো ইট। ইট আবিষ্কারের পরই ইট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলীর দেখা মিলতে শুরু করলো, আবাসিক কাজে ব্যবহার হতে লাগল। বড়ো বড়ো দালান, ইমারত থেকে রাস্তাঘাট যাই বলা হোক না কেনসকল কিছুই তৈরি হয় ছোট ছোট ইট থেকে। আর এই সকল ইট তৈরি করা হয় ইটের ভাটায়। ক্রমবর্ধমান এই চাহিদার জোগান দিতে ইট প্রস্তুতকারকরা ইট তৈরিতে মানছে না কোনো নিয়মনীতি। দেশে বিভিন্ন আইন, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও ইটভাটার দৌরাত্ম্য কমছে না।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বে বছরে প্রায় ১৫০০ বিলিয়ন ইট উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে ১৩০০ বিলিয়ন ই এশিয়াতে উৎপাদিত হয়, যা মোট উৎপাদনের ৮৭ শতাংশ। ইটের ৬৭ শতাংশ চীনে, ১৩ শতাংশ ভারতে এবং বাংলাদেশে প্রায় ১.৩ শতাংশ উৎপাদিত হয়। মোটা দাগে বলা যায়, ইট উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে মোট ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। যাতে বছরে প্রায় ২১ বিলিয়ন ইট তৈরি করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩.৫ হাজার ইটেরভাটা অনুমোদন নিয়ে বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাকিগুলো অনুমোদনবিহীন অবৈধ। এসকল অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ ইটের ভাটার কারণে ফসলি জমি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্রমেই বন উজাড় হচ্ছে, কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে, দেশের ভূ-প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় প্রকৃতি-পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পথে। ক্রমেই মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এবং চাষাবাদের জমিজমা ও ইটভাটার আশপাশের গাছপালা কমছে। ইটভাটার বর্জ্যে যে সালফার থাকে তা নদী বা জলাশয়কে দূষিত করে। এর ফলে আশপাশের নদী থেকে মাছসহ সব ধরনের জলজপ্রাণী এবং উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০১৩ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’’ এবং ২০১৯ সালে এটি সংশোধন করা হয়। এই আইনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধারা-উপধারা অনুযায়ী, আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা অর্থাৎ জিগজ্যাগ ক্লিন, হাইব্রিড হফম্যান ক্লিন, ভার্টিক্যাল শফট ক্লিন, টানেল ক্লিন বা অনুরূপ উন্নততর কোনো প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। কৃষিজমি, পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ইট তৈরির জন্য মজা পুকুর, খাল, বিল, খাঁড়ি, দিঘী, নদ-নদী, হাওড়-বাঁওড়, চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা হতে মাটি সংগ্রহ করা যাবে। মাটির ব্যবহার কমানোর জন্য কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ফাঁপা ইট (Hollow Brick) তৈরি করতে হবে।জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা যাবে না এবং নির্ধারিত মানমাত্রার কয়লা ব্যবহার করতে হবে।জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কেউ ইটভাটায় ইট প্রস্তুত করতে পারবে না, তবে কংক্রিট কমপ্রেসড ব্লক (কংক্রিট, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি) ইট প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না।আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষিজমি, ডিগ্রেডেড এয়ার শেড এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয় এবং নিষিদ্ধ এলাকার সীমারেখা থেকে নূন্যতম এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেও ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া, সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো পাহাড় বা টিলার উপরিভাগে বা ঢালে বা তার আশপাশে কোনো ইটভাটা বসানো যাবে না। এক্ষেত্রে পাহাড় বা টিলার পাদদেশ থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এলজিইডি নির্মিত সড়ক থেকে আধা কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। সাধারণত এলজিইডি নির্মিত রাস্তার দুপাশে সামাজিক বনায়ন (স্ট্রিপ বৃক্ষরোপণ) করা হয়। আর আইনানুযায়ী সামাজিক বন (ব্যক্তিমালিকানাধীন বনের অন্তর্ভুক্ত) থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা করা যাবে না। বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোনো স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।ইটভাটায় ফসলি জমির উপরের মাটি (টপ সয়েল) ব্যবহার করলে প্রথমবারের জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের জন্য ভাটা কর্তৃপক্ষকে ২ থেকে ১০ বছরের জেল এবং ২ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে।
২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হয় এবং ২০১৯ সালের সংশোধনীর পর আইনটির আধুনিকায়ণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র! ইটভাটার আগ্রাসন বন্ধ করা যাচ্ছে না। যেথা ইচ্ছা সেথা নিয়ম না মেনে ইটভাটা স্থাপন করে ইট তৈরি করা হচ্ছে। দেশে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইট তৈরি হয়। এর মধ্যে ফিক্সড চিমনি সবচেয়ে পুরোনো পদ্ধতি। এক্ষেত্রে ধোঁয়া নির্গমনের জন্য প্রায় ১২০ ফুট লম্বা চিমনি ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও ফসলি জমিতে বা লোকালয়ে অনেক ইটভাটার চিমনির উচ্চতা ৬০ ফুটের বেশি নয়। অন্যদিকে জিগজাগ, হাইব্রিড হফম্যান ও টানেল পদ্ধতিতেও ইট উৎপাদিত হচ্ছে। এগুলো পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি, যদিও এসকল পদ্ধতিতে ইট উৎপাদনকারী কারখানার সংখ্যা খুবই কম। আবার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে বছরে প্রায় ৩৫ হাজার মিলিয়ন কিউবিক ফুট মাটি ইট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই পরিমাণ মাটির জোগান দিতে ফসলের জমি অকেজো গর্তে পরিণত হচ্ছে। কেবল সমতল ভূমি নয়, কোথাও কোথাও পাহাড় পর্যন্ত কাটা হয় মাটি জোগাড় করার জন্য। ইট ভাটার মালিকগুলো একে-অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জলের দামে মাটি কিনছেন নিকটস্থ এলাকার জমির মালিকগুলোর কাছ থেকে। আর সামান্য টাকার লোভে জমির মালিকরা না বুঝে কমপক্ষে চার/পাঁচ ফুট গভীরতায় মাটি বিক্রি করে একেকটা কৃষি জমিকে নিচু ভূমিতে পরিণত করে ফেলেছেন। উপরন্তু, বাংলাদেশে ইট প্রস্তুতে এখনও পুরনো অদক্ষ পদ্ধতি ও জ্বালানি হিসেবে অধিক সালফারযুক্ত নিম্নমানের কয়লা এবং জ্বালানি কাঠ ব্যবহৃত হয়। ইটভাটায় কয়লার পাশাপাশি কাঠও পোড়ানো হচ্ছে, যে কারণে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ নানা ধরনের বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে। ইটভাটা সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে পরিচালিত হয়, যখন বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের গতিবেগ কম থাকে, যা বায়ুদূষণের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। নগর অঞ্চলে শীতকালে অধিক বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হলো ইটভাটার ধোঁয়া। বুয়েটের গবেষণা ও পরিবেশ অধিদফতরের সূত্র অনুযায়ী, দেশের বায়ু দূষণের শতকরা ৩৫ ভাগের জন্য দায়ী ইটভাটাগুলো।
বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান এবং আগামীর জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করবে। আমরা নিজেদের জন্য তো এটা করতে পারছিই না বরং আগামীর নাগরিকদের জন্যও পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছি। যদিও ইট আমাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ কারণ প্রায় সকল প্রকার নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রেই আমরা ইটের উপর নির্ভরশীল, তবুও ইট তৈরির পুরোনো পদ্ধতি থেকে সরে আসতে হবে আমাদের। মাটির ইটের বিকল্প হিসেবে যেসব উপকরণ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে, তার ব্যবহার বাড়াতে হবে। ইটের বদলে ভবন বা রাস্তা নির্মাণে বালি, সিমেন্ট, নুড়ি পাথর দিয়ে বানানো কংক্রিট ব্যবহার করতে হবে। ইটের পরিবর্তে হলগ্রাম বা কংক্রিটের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কংক্রিট/ব্লকের ব্যবহার বাড়ানোর হয় জন্য কংক্রিট/ব্লক তৈরি কারখানাগুলোকে কিছু বছরের জন্য ডিউটি ফ্রি করতে হবে। উর্বর ফসলি জমির উপরের অংশ দিয়ে ইট বানানো বন্ধ করতে হবে। অত্যন্ত জরুরিভিত্তিতে ইটভাটায় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে হবে। সরকারের যেসব বিভাগ অবকাঠামো নির্মাণ ও তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত তাদেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
আশার কথা হচ্ছে, সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে ইটের চাহিদা পূরণের জন্য ‘‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ এর কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ইট তৈরিতে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে সবুজ পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। আমাদের দেশে ইটের পরিবর্তে ব্লকের ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, যা ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সম্প্রতি বায়ুদূষণ কমাতে রাজধানীর আশপাশের প্রায় ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ইতোমধ্যে ঢাকার আশপাশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। মহামান্য আদালতের নির্দেশনাও একই রকম। তবে সরকারের এই তৎপরতায় উদ্বিগ্ন এ খাতের উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা। তারা বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি তুলেছেন। সারা দেশে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ইট তৈরির কারখানা গড়ে তুলে ইটভাটার শ্রমিকদেরই সেখানে কাজ করার সুযোগ দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। বর্তমান ইটভাটার মালিকরাও হতে পারবেন ব্লক কারখানার উদ্যোক্তা। ইতোমধ্যেই বেসরকারি পর্যায়ে ব্লক বা ব্লক ইট তৈরির বেশকিছু কারখানা গড়ে উঠেছে দেশে। বেসরকারি পর্যায়ে এসকল উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে। ব্লকের প্রসার ঘটলে কম খরচে মানসম্মত নির্মাণকাজ সম্ভব হবে। কাজেই সব দিকে বিবেচনায় ইটের পরিবর্তে ব্লকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের সরকারি নির্মাণে ব্লক ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে।
সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে যে নির্মাণকাজের উপর, সেই নির্মাণকাজে ইট একটি বড়ো অংশীদার। তাই, ইটভাটা পরিবেশ দূষিত করে এটা যেমন সত্য, পরিবেশ সংরক্ষণ যেমন জরুরি, তেমনি ইটের প্রয়োজনীয়তাও অস্বীকার করা যায় না। এ কারণে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবেশ উপযোগী বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করা সময়ের দাবি। নাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের শুধু ঘৃণাভরেই স্মরণ করবে। ইটভাটার আগ্রাসন থেকে পরিবেশ, কৃষি ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা পাক, এই প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টা হোক সকলের!
#
লেখকঃ তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর।
পিআইডি ফিচার

 

সর্বাধিক পঠিত