অনলাইন ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট ও নওগাঁর পত্নীতলায় বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে প্রচন্ড ঝড়ের সময় বজ্রপাত হওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়। মূলত ঝড়ে পড়া আম কুড়াতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে তিনজন ও পত্নীতলায় মাঠ থেকে ধান আনতে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার আলিডাঙ্গা মহল্লার সুভাষ বোকতের স্ত্রী ববি বোকত (২২), পাকা ইউনিয়নের নিশিপাড়ার এরশাদ আলী ওরফে রাব্বুলের মেয়ে কবিতা খাতুন (১২) এবং ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গাছি-হঠাৎপাড়ার এসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০)।
নওগাঁর নিহতরা হলো, মান্দা উপজেলার শামসুল আলম (৩৪) ভোলাম গ্রামের ফইমদ্দিন মন্ডলের ছেলে ও পত্নীতলা উপজেলার উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের নাগরগোলা গ্রামের বিশা মন্ডলের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৫০) ও গাহন গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী মনিকা (৩৫)।
আহতরা হলেন, বদলগাছীর গাবনা গ্রামের অবির উদ্দিন ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন ফকির (৫৫) ও আমিন আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল খালেক ফকির (৩৫)।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ববি তার বাড়ির সামনের একটি বাগানে আম কুড়াতে যান। এ সময় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময়ে উপজেলার পাকা ইউনিয়নের নিশিপায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় কবিতা খাতুনের। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির সামনে আম কুড়াতে যায় কবিতা। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ভোলাহাট থানার ওসি সুমান কুমার জানান, বেলা পৌনে ৩টার ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বাগানে আম কুড়াতে যায় আমেনা খাতুন। এ সময় বজ্রপাত হলে সেখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। স্থানীয়রা আমেনাকে নিয়ে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় সংম্লিষ্ট থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কৃষক খাদেমুল ইসলাম মাঠ থেকে ধান বহন করে বাড়ীর উঠানে এসে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়। অপর দিকে একই সময়ে গৃহবধূ মনিকা বাড়ীর সামনে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।
তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন। পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহতের বাবা ফইমুদ্দিন জানান, তার ছেলে আজ শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের একটি মাঠে ধানের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কৃষক খাদেমুল ইসলাম মাঠ থেকে ধান বহন করে বাড়ির উঠানে এসে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়। অন্য স্থানে গৃহবধূ মনিকা বাড়ির সামনে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন।