এম এ রশীদ সিলেট : কাউকে শোকজ করতে পারে কেন্দ্র। আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যামূলক জবাব দিয়েছি।’
তিনি বলেন- ‘এটি সত্যি যে, স্বৈরাশাসক পতনের ৫ মাসের মাথায় তাদের দোসররা কীভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবি সংগঠনের নির্বাচনে জয়ী হলো; এটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং আগামীতে যাতে এমন না ঘটে এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী বলেন- ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহানগরের পক্ষ থেকেও জবাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নোটিশের শ্রদ্ধা থেকেই বলছি- এটি একটি বেদনায়ক ঘটনা। এ নির্বাচনে আওয়ামী পন্থীদের বিজয় প্রমাণ করে- স্বৈরশাসকদের দোসররা এখনো
সিলেটে তৎপর। বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং গ্যাপ খুঁজে বের করতে হবে। কেন্দ্র ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থীদের বিপর্যয়ের পর রোববার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ফোরামের সিলেটের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ ছাড়া বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে সংগঠনটি ওই দিনই ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
কমিটিকে সরেজমিন অনুসন্ধান ও ফোরামের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য,১৬ জানুয়ারি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২৬টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১২টিতে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা জয় পেয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপিপন্থী ছয়জন ও জামায়াতপন্থী পাঁচজন জয় পেয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য দলের।