হেলাল উদ্দীন, বাগমারা : ফেরি করে ইয়াবা বড়ি বিক্রির সময় হাতেনাতে এক কৃষকলীগের নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। ওই নেতার নাম জিয়াউর রহমান (৩৪)। তিনি রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দর্গামাড়িয়া গ্রামের মোলায়েম হোসেনের ছেলে। তিনি কৃষকলীগের ভবানীগঞ্জ পৌরসভার শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
তবে তিনি চানপাড়া হেলিপ্যাড এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। এছাড়াও তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে কাছে ইয়াবা বড়ি রেখে বিক্রির জন্য ভবানীগঞ্জ আলুহাটায় অবস্থান করছিলেন। এসময় সেখানে কয়েকজন মাদকসেবী আসলে পুলিশের সন্দেহ হয়। এর আগ থেকে খবর পেয়ে সাদা পোশাকের বাগমারা থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে অনুসরণ করেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাগমারা থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) জাহিদ শেখ কৃষকলীগের নেতাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এক পর্যায়ে তাঁর কোমড় থেকে কাগজে মোড়ানো ৩৮টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এসময় সেখানে থাকা কয়েকজন মাদকসেবী কৌশলে সটকে পড়েন। পরে জিয়াউর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন ও থানার পুলিশ জানায়, জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঘুরে ঘুরে ইয়াবা বড়ি বিক্রি করে থাকেন। ক্রেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়া হয়।
ওই এলাকায় বিকেলে মাদকসেবিদের আনাগোনা দেখা যায় বলে পুলিশ জানায়।
কৃষকলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আটক হওয়া জিয়াউর রহমানের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বাগমারা থানার উপপরিদর্শক জাহিদ শেখ বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ঘুরে ইয়াবা বড়ি বিক্রি করে আসছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল।