বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

রাজশাহীতে সত্যিই ‘মসজিদপট্টি’ আছে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর ‘মসজিদপট্টি’ এলাকায় এক টাকার বিনিময়ে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের দেওয়া এমন পোস্টের পর শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। অনেকেই দাবি করছেন, রাজশাহীতে এ নামে কোন জায়গাই নেই। বিদ্যানন্দ মিথ্যা বলছে।

তবে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীতে ‘মসজিদপট্টি’ আছে এবং সেখানে বিদ্যানন্দ খাবারও বিতরণ করেছে। রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম মোড় থেকে পূর্ব দিকে এগিয়ে গেলেই ছোটবনগ্রাম পূর্বপাড়া। এই মোড় থেকে কিছুটা পূর্বে এগিয়ে গেলেই রয়েছে একটি বস্তি। এই স্থানটির নামই ‘মসজিদপট্টি’। এটি সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। কেউ চৌধুরীপাড়া মসজিদপট্টি আবার কেউ ছোটবনগ্রাম পূর্বপাড়া মসজিদপট্টি হিসেবে স্থানটিকে চেনেন।

‘এক টাকায় আহার’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে বৃহস্পতিবার কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়। খাবার বিতরণের এই স্থানটির ঠিকানা জানাতে লেখা হয়, ‘৪ মে ২০২৩, মসজিদপট্টি, চন্দ্রিমা থানা, রাজশাহী।’ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ পোস্টে ১৫ হাজারের বেশি রিয়্যাক্ট পড়ে। এই পোস্টে অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করেন। এরমধ্যে রাজশাহীতে ‘মসজিদপট্টি’ নেই বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। শুধু এই পোস্টেই নয়, অনেকে নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতেও পোস্ট দেন বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে।

তৌহিদ ফেরদৌস তন্ময় নামের এক ব্যক্তি রাজশাহীর আলোচিত বিষয়গুলো নিজের ফেসবুক আইডিতে তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার জানা মতে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় “মসজিদপট্টি” নামে কোন জায়গা নাই। ইনফ্যাক্ট পুরো রাজশাহী শহরে এই জাতীয় কোন এলাকার নাম আছে, বলে আমি শুনি নাই। রেশমপট্টি, বেতপট্টি, তুলাপট্টি আছে, এমনকি মেথরপট্টিও আছে। কিন্তু “মসজিদপট্টি” নাম আমি জীবনেও শুনি নাই।’

তিনি লেখেন, ‘বাবা বিদ্যামন্দ ভালই খেল দেখাইতেছো। রাজশাহীর মানুষ এই নাম না শুনলেও, রাজশাহীর বাইরের লোকেরা মনে করবে, তোমরা সত্যি সত্যি রাজশাহীতে খাবার খাওয়ায় দিছ। আসলেই জিনিয়াস তোমরা। জয় বাবা বিদ্যামন্দের জয়।’ এ রকম আরও অনেক পোস্ট ফেসবুকে চোখে পড়ে। তবে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে চন্দ্রিমা থানা এলাকায় মসজিদপট্টি পাওয়া গেছে।

মসজিদপট্টির ছোট্ট মোড়ে রয়েছে শারীরীক প্রতিবন্ধী হামিম হোসেন সেতুর দোকান। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার এখানে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক টাকার বিনিময়ে চারটি করে রান্না করা ডিম দেওয়া হয়েছে। এই বস্তির সব বাড়ির লোকেরাই ডিম নিয়েছেন। বাদ যাননি পাশের বস্তির বাসিন্দারাও।

 

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com