অনলাইন ডেস্ক : গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঠিক না হলেও ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনেরই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ফরিদপুর জেলা জামায়াতের আমির মো. বদরউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফরিদপুরের নয়টি উপজেলা নিয়ে চারটি সংসদীয় আসন। এরমধ্যে আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত (ফরিদপুর-১) আসন। এই আসনে ঢাকা জেলা শাখার সুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ইলিয়াছ মোল্লাকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান। তার বাড়ি মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের কালপোহা গ্রামে।
নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন গঠিত। সেখানে নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সোহরাব হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি নগরকান্দার তালমা নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি তালমা গ্রামে । তিনি এর আগে নগরকান্দা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরেছিলেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নিয়ে নিয়ে গঠিত (ফরিদপুর-৩) আসন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে । তিনি বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। ফরিদপুর শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা। আব্দুত তাওয়াব ২০১৪ সালে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ভাংগা, সদরপুর ও চরভ্রদাসন উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন গঠিত। এই আসনে ভাংগা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সরোয়ার হোসেনকে জামায়াতের প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি ভাংগা উপজেলার পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তার বাড়ি ভাংগার মালিগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচকুল গ্রামে। তিনি তারাইল আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক।