লালপুর প্রতিনিধি: বিকেলে ফুটবল প্রীতি ম্যাচ। প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে দুপুর গড়াতেই স্টেডিয়ামের দিকে দলে দলে মানুষ ছুটছে। খেলা শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় স্টেডিয়াম। খেলা দেখতে দূর—দূরান্ত থেকে আসে হাজার হাজার দর্শক। জমজমাট খেলাটিতে আনন্দে মাতে দর্শক। অনেক দর্শক মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের স্কুল ভবন, টিনের চাল ও উঁচু গাছে অবস্থান নয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল খেলা উপভোগ করতেই মানুষের এমন উৎসাহ দেখা গেছে।
শনিবার নাটোরের লালপুরের শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম মাঠে লাভলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম গোপালপুর একাদশ ফুটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ণ সময় ৯০ মিনিটের খেলাটি গোল শূন্য ড্র হয়।
দুড়দুড়িয়া থেকে আসা দর্শক আসলাম উদ্দিন বলেন, খেলা দেখার জন্য ১৫ কিলোমিটার দূরে থেকে এসেছেন তিনি। অনেক দিন পর ফুটবল খেলা উপভোগ করতে পেরে খুব খুশি লাগছে।
কদিমচিলানের দর্শক আকরাম হোসেন বলেন, এই খেলার আয়োজন করায় স্টেডিয়ামটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আসলে এখানে তেমন খেলাধুলা হয় না। এত দর্শক কখনো দেখা যায়নি।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘আজ স্টেডিয়ামে যে পরিমাণ মানুষ আসছে, এর মানে হচ্ছে, ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। হয়তো ভালো খেলা আমরা দিতে পারি না, সে জন্য মানুষ মাঠে আসে না। বাংলাদেশের ফুটবলকে বাঁচাতে হলে সবাইকে নেমে পড়তে হবে। প্রতিটি জেলায় যদি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ জন্মায়, তাহলে দেশে ফুটবলকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমি আপনাদের কাছে আসি শুধু ফুটবলের জন্য। আর বলতে চাই, জীবনে পড়াশোনা ছাড়া কোনো সম্ভাবনা নাই।’
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজ নষ্ট হওয়ার কারণ নষ্টদের নষ্টামির জন্য না। ভালো মানুষ যখন নীরব হয়ে যায়, আদর্শ মানুষ যখন আলাদা আলাদা হয়ে যায়, তখন সমাজ নষ্ট হয়ে যায়। যখন ভালো ভালো পরিবারের আদর্শ মানুষগুলো দাঁড়িয়ে যাবে, তখন সমাজ এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। দেশের দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর ব্যক্তিরা এমনি পালিয়ে যাবে।’
খেলায় ব্যারিস্টার সুমন তাঁর নামের ফুটবল একাডেমির পক্ষে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিসুর রহমান, গোপালপুর পৌর মেয়র রোকসানা মোত্তর্জা লিলি, লাভলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিলভিয়া পারভিন লেনিসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।