স্টাফ রিপোর্টার: নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে দরিদ্র বিধবা নারীর এক বিঘা জমির ধান কেটে দিলেন জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৯ মে) বড়গাছীর মালপাড়া গুচ্ছগ্রামের আমেনার এক বিঘা জমিতে ধান কেটে দেন তারা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ডাকসুর সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত এজিএস বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন অঞ্চলে গিলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জমির ধান কেটে দিচ্ছেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সাগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ। অনেক অসহায় ও দরিদ্র কৃষক ভায়েরা আছে যারা ধান কাটার জন্য কৃষক পাইনা এবং টাকার অভাবে ধান কাটতে পারেনা। তাদের কথা মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে কৃষকদের জমিতে আমরা জেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধান কেটে দিয়ে থাকি। এতে করে তাদের যেমন উপকার হয় তেমনি ভাবে আমরা অনেক মানসিকভাবে প্রশান্তি পাই।
জেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা জানান, আমরা প্রতিটি অঞ্চলে ও গ্রামে খোজ নিয়ে থাকি যে এমন কোন অসহায় দরিদ্র মানুষ আছে কিনা যারা অর্থের অভাবে তাদের জমির ধান কাটতে পারছেনা কিন্তু লজ্জার জন্য কাউকে বলতে পারছেনা এসব মানুষের জমিতে গিয়ে আমরা তাদের ধান কেটে দিই এবং সে মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি। আমরা জেলার সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীরা সবসময় প্রস্তুত থাকি এসব অসহায় মানুষদের পাশে থাকার জন্য।
জমির মালিক দরিদ্র বিধবা আমেনা জানান, ছয় বছর আগে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে মারা যায় তার পর থেকে কষ্ট করে আমি আমার ছেলেকে মানুষ করেছি। আমার ছেলে এখন রাজশাহী কলেজে পড়ে। আমি অত্যান্ত গরীব ও অসহায় একজন মানুষ। অনেক কষ্ট করে ধারদেনা করে ধান লাগিয়েছিলাম কিন্তু ধান কাটার সময় হয়ে গেলেও কোন কৃষক না পাওয়ায় এবং টাকা না থাকায় কেউ ধান কেটে দিচ্ছিলনা। আজ হঠাৎ জেলা ছাত্রলীগের ছেলেরা এসে আমাকে চিন্তা করতে মানা করে এবং সকাল থেকে শুরু করে একবিঘা জমির ধান কেটে দেয় । তাদের এমন মহৎ উদ্যেগে আমি অনেক খুশি হয়েছি। তাদেরকে দেবার মতো আমার কাছে কিছুই নাই। আমি তাদের কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো এবং দোয়া করবো সারাজীবন যেন তারা মানুষের সেবায় নিয়জিত থাকতে পারে।