বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করায় তিনজনের জেল-জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের জরিমানাও করা হয়েছে। রোববার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ খাঁপাড়া গ্রামের রাব্বি শাকিল ওরফে ডিজে শাকিল (৩২), নওগাঁর মান্দা উপজেলার গাড়ীক্ষেত্র গ্রামের হারুন রশিদ ওরফে সাইফুল (২৬) এবং তাড়াশ উপজেলার কুসুমবি গ্রামের হুমায়ুন কবীর (২৮)।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর শাকিল ও হারুনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। মামলার বাদী বগুড়ার বাসিন্দা আমানত উল্লাহ তারেক। তিনি অভিযোগ করেন, তিনি এবং আশিক দৌলাতানা অভি নামের আরেক ব্যবসায়ী ‘ইন্টারন্যাশনাল লোন সার্ভিস’ নামে ফেসবুকে একটি পেজ থেকে ঋণ দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখেন। এরপর তারা যোগাযোগ করলে তাদের দুজনকে সাড়ে চার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এ জন্য ইন্টারন্যাশনাল লোন সার্ভিসের পক্ষ থেকে শাকিল ও হারুন তাদের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

এরপর তারা পাঁচ শতাংশ কমিশনে ঋণ নিয়ে দিতে চান। এই প্রলোভন দেখিয়ে তারা প্রায় ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ঋণ দেওয়ার জন্য তারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাগজপত্র এবং চেকের স্ক্যান কপি ইমেইলে পাঠান। কিন্তু ওই চেকের টাকা তোলার মেয়াদ পার হয়ে গেলেও তাদের আসল কপি দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সন্দেহ হলে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে তারা প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ নিয়ে প্রথমে দুজনের নামে মামলা করা হয়। পরে পুলিশের তদন্তে আরেক আসামি হুমায়ুন কবীবরকে শনাক্ত করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত তিন আসামিকেই জেল-জরিমানা করেছেন।

আইনজীবী ইসমত আরা জানান, আসামি শাকিলকে আদালত একটি ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। আরেকটি ধারায় শাকিলকে একই জেল-জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে আসামি হারুন ও হুমায়ুনকে একটি ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিনমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড। আরেকটি ধারায় আদালত এ দুজনকে একই জেল-জরিমানা করেছেন।

আসামিদের সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় শাকিল ও হারুন আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামি হুমায়ুন পলাতক। গ্রেপ্তারের পর তার সাজা কার্যকর হবে।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com