
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের আপসহীন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা এবং তাঁর নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে এই মহিয়সী নারীর অবদান অপরিসীম।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। সভায় বক্তারা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতার অবদান তুলে ধরেন।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, মাত্র ৪৫ বছরের জীবনে বঙ্গমাতা তাঁর নিজের কথা না ভেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। কীভাবে দেশের মানুষকে ভালো রাখা যায়, মানুষের খোঁজ-খবর নেয়া যায়Ñ তা তিনি ভাবতেন। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি দেশের সামগ্রিক সংবাদ তাঁকে জানানো ও তাঁর সিদ্ধান্তগুলো জনগণের কাছে পৌঁছানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি না নিয়ে জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অলীউল আলম অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ও পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে রাজশাহী জেলার ১২৫ জন অসচ্ছল নারীর হাতে সেলাই মেশিন ও স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিগুলোর মধ্যে ১৭৯টি সমিতির অনুকুলে ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৪০ জন অসহায়, অস্বচ্ছল নারীকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে একাডেমি চত্ত্বরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনও দিবসটি উদযাপন করে।