• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

মাদরাসা শিক্ষক শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে বেদম পেটালেন, হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশ: বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৯:০৭

মাদরাসা শিক্ষক শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে বেদম পেটালেন, হাসপাতালে ভর্তি

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় আসাদুল (৮) নামের এক মাদরাসা ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের হাড়িয়াকাহন বাইতুল উলুম নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ইকবাল হোসাইনের বিরুদ্ধে। প্রহৃত আসাদুল ওই মাদরাসার হেফজ শিক্ষার্থী এবং হারিয়াকাহন গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় বুধবার (৬ সেপ্টম্বর) সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে মামলা না করে সালিশী করে বিচার করার আশ^াস দিয়েছেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটি।

আসাদুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আসাদুলের জন্ডিস হওয়ায় তিন দিন মাদরাসায় অনুপস্থিত ছিল। রোববার (৩ সেপ্টম্বর) রাত ১১টার দিকে দুই সহপাঠী সজিব ও সিয়ামকে দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় মাদরাসার ওই শিক্ষক। আসাদুলের ধারণা হয় সিয়াম তার কাছে টাকা পেতো সেজন্য এসেছে। আসাদুলের মা শোভা খাতুন পাওনা ১শো টাকা দিয়ে দেয়- সিয়ামকে দেয়ার জন্য। আসাদুল তার বাড়ির সামনে সিয়ামকে টাকা দেয়ার জন্য গেলে সেখানে শিক্ষক ইকবাল হোসেনও উপস্থিত ছিল। এ সময় ওই শিক্ষক্ষ আসাদুলের কাছে মাদরাসায় অনুপস্থিতর কারণ জিজবঞ্স্ করনস।

আরও পড়ুনঃ  খুলনার আমিন মরিয়ম স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ

আসাদুল ত্র অসুস্থত্ন কথা জানালে শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে টেনে-হিচড়ে মাদরাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আসাদুলের হাত-পা বেঁধে, মাথা টেবিলের নীচে দিয়ে কোমরের নিচে বেত এবং স্টিলের স্কেল দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। এক পর্যায়ে আসাদুল নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। আসাদুলের মা খবর পেয়ে দৌড়ে মাদরাসায় গিয়ে ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘ছেলে তো বাড়ি চলে গেছে।’ পরে মা খোঁজাখুজি করে দেখতে পান মাদরাসার ভেতরেই ছেলে কাঁথার নীচে শুয়ে কাতরাচ্ছে। ছেলেকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দিন রাত ১টার দিকে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে তেলের দোকানে আগুন: মালিক নিহত

আসাদুলের মা শোভা খাতুন জানান, ‘ছেলের জন্ডিস ধরা পড়ায় তাকে মাদরাসায় যেতে দেইনি। ওই সময় দ্রুত মাদ্রাসায় না গেলে হয়তো আমার ছেলে মারা যেত। কোনো মানুষ শিশু সন্তানকে এ ভাবে মারতে পারে ? ওই হুজুরের মনে হয় কোনো সন্তান নাই! থাকলে এভাবে অমানবিক নির্যাতন করতো না।’
আসাদুল এর বাবা আনোয়ার হোসেন জানান ,মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দিতে নিষেধ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  মোহনপুরে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা ইকবাল হোসেন পলাতক রয়েছেন। মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন। তিনি বলেন, মাদরাসার পক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীর যাবতীয় চিকিৎসার দায়ভার নেয়া হয়েছে ।

সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটির অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মারপিটের জখম শুকাতে সময় লাগবে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নাই।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675