হাজত থেকেই বিস্ফোরক মামলায় হাজিরা দিলেন বিএনপি নেতা মিলন

হাজত থেকেই বিস্ফোরক মামলায় হাজিরা দিলেন বিএনপি নেতা মিলন

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বিএনপি রাজশাহী মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় রাজশাহী কারাগারে রয়েছেন। কারাগার থেকেই রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। এই মামলাটি ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা হয়। যার নম্বর হচ্ছে-১৫।

১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩,৪ ও ৬. এম জিআর নং-১০০/১৫ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-১৩৭/১৬ মূলে এই মামলা হয়। মামলার অন্যান্য আসামী হলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি বোয়ালিয়া থানা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু ও রফিকুল ইসলাম সহ মোট ২০জন আসামী রয়েছে। এই মামলায় রোববার ছিলো স্বাক্ষীর দিন। স্বাক্ষীর সময়ে মামলার সকল আসামী কোর্টে হাজির ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  বাঘায় পদ্মা নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের তথ্য পাওয়া গেছে

বিএনপি নেতা মিলনকে কোর্টে আনবে জানতে পেরে শত শত নেতাকর্মী আদালত পাড়ায় জড়ো হন। বিএনপি’র এই নেতা আদালত চত্বরে প্রবেশ করা মাত্র নেতাকর্মী তাঁর মুক্তি দাবীতে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। স্লোগানে আদালতের সামনে মুখরিত হয়ে ওঠে। দীর্ঘ শোনানী শেষে মিলনকে আবারও জেল হাজতে পাঠানো হয়। মিলন তার বহনকারী গাড়ী থেকে নামার সময়ে নেতকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেরে নিজের দৃঢ় অবস্থান বোঝান। তিনি এদেশের জনগণের জন্য যে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পরে হাজতে আছেন তাতে তিনি দূর্বল বা ভীত

আরও পড়ুনঃ  ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ৭১ দখলের মতো বাংলা নববর্ষও দখল করে রেখেছিল : শামা ওবায়েদ

নন, এটাই বোঝাতে চান তিনি।
আদালত চত্বরে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, বিএনপি নেতা ও ধুরইল ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার মন্ডলসহ রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।

আরও পড়ুনঃ  তানোরে শীষ মোহাম্মদের কবর জেয়ারত করলেন এমপি প্রার্থী সুলতানুল ইসলাম তারেক

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার অযাচিত ভাবে সম্পূর্ন রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করার জন্যই এই সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ সদস্যরা তাঁর নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে হাজতে প্রেরণ করছে। তিনি বলেন, মিলন শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। প্রতিদিন তাঁর ওষুধ সেবন করতে হয়। এ অবস্থায় তার জামিন অত্যন্ত প্রয়োজন। দ্রুত এডভোকেট শফিকুল হক মিলনের নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন সুইট।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *