অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বস্ত্রীক কারাগারে আরডিএ প্রকৌশলী

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বস্ত্রীক কারাগারে আরডিএ প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আদালত রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) একজন সহকারী প্রকৌশলী ও তাঁর স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এই স সহকারী প্রকৌশলীর নাম শেখ কামরুজ্জামান (৪৭)। তাঁর স্ত্রীর নাম নিশাদ তামান্না (৩৯)। অবৈধ সম্পদ অর্জনের আলাদা আলাদা দুই মামলায় তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সহকারী প্রকৌশলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা চলমান। নিজ নিজ মামলায় তারা অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  কলজে ছাত্রীকে নগ্ন ছবি পাঠেিয় হুমকি: পুঠিয়ায় যুবক গ্রপ্তোর

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুদক। এরপর রোববার মামলা দুটির ধার্য্য তারিখ ছিল। এ দিন আসামিরা হাজিরা দিতে এলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।

অভিযোগ রয়েছে, সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের চাকরি হয়েছিল অনিয়ম করে। চাকরি পেয়েই দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। গত বছরের ১ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এতে তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তবে মামলার তদন্তকালে তাঁর আরও সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। অভিযোগপত্রে তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই পরিমাণ সম্পদ তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  নগরীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জনসহ গ্রেপ্তার ১৭

এদিকে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করার পরদিন দুদক কর্মকর্তা আমির হোসাইন কামরুজ্জামানের স্ত্রী তামান্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এতে তাঁর বিরুদ্ধে ৫৩ লাখ ১৩ হাজার ২১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তবে মামলার তদন্তকালে তাঁর আরও অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। অভিযোগপত্রে নিশাদ তামান্নার বিরুদ্ধে ৬০ লাখ ৬২ হাজার ১১৮ টাকা অবৈধভাবে অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগপত্র দাখিলের মাধ্যমে আদালতে তাঁদের বিচার শুরু হলো।

আরও পড়ুনঃ  বাঘায় পদ্মা নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের তথ্য পাওয়া গেছে

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *