স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক নারী নবজাতক শিশু নিয়ে এক যুবকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, প্রেমের সম্পর্কের কারণে অভিযুক্ত যুবক ঢাকায় গিয়ে তাকে বিয়ে করেছেন। দেড় বছর ঢাকায় তারা সংসারও করেছেন। এখন বিয়ের কথা অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত যুবক।

এই যুবকের নাম মো. সাফিউল্লাহ। গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের উজানপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত মজিবুর রহমান। ওই নারীর বাড়ী পাশের গ্রামে। রোববার দুপুর থেকে ওই নারী সফিউল্লাহর বাড়িতে গিয়ে অনশন করছেন। তখন সফিউল্লাহ বাড়িতে থাকলেও এখন নেই।

আরও পড়ুনঃ  বিপুল উৎসাহে রাজশাহীতে উদ্যাপিত হলো বাংলা নববর্ষ

ভুক্তভোগী নারীর দাবি, তার সঙ্গে এই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ জন্য তিনি তার সঙ্গে ঢাকা যান। সেখানে ধর্মীয় রীতিতে তারা বিয়ে করেন। তবে বিয়ের নিবন্ধন করা হয়নি। ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় সফিউল্লাহ তেল, গুড়া হলুদ-মরিচসহ বিভিন্ন জিনিসের দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন। তারা সেখানে একসঙ্গেই থাকতেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর সফিউল্লাহর বাবা মারা গেলে তিনি গ্রামে আসেন। পরদিন এই নারী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

আরও পড়ুনঃ  রাবি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ওই নারী জানান, সফিউল্লাহ বাড়ি আসার পর আর ফিরে না যাওয়ায় তিনিই ঢাকা থেকে চলে আসেন। রোববার তিনি কন্যা সন্তানসহ স্বীমার বাড়িতে আসেন। কিন্তু তখন সফিউল্লাহ তাকে স্বীকার করেননি। পরে তিনি ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশে খবর দেন। এরমধ্যেই সফিউল্লাহ সটকে পড়েছেন। সাতদিনের নবজাতক শিশু নিয়ে সোমবার বিকাল পর্যন্ত ওই নারী সফিউল্লাহর বাড়ির সামনেই ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, ‘ওই নারী আসার পরই খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। পুলিশও এসেছিল। কিন্তু ওই নারী বিয়ের কাগজ দেখাতে পারছেন না। আবার সফিউল্লাহও ধর্মীয় রীতিতে বিয়ের কথা স্বীকার করছেন না। ফলে একটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। কীভাবে এর সমাধান করা যায় সেটি আমরা দেখছি।’

আরও পড়ুনঃ  ঢাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন দুর্গাপুরের বিপ্লব

কথা বলতে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন না ধরার কারণে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *