২০২৬ সালের মধ্যে ভারত ১০০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য

২০২৬ সালের মধ্যে ভারত ১০০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য

অনলাইন ডেস্ক: আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অন্তত ১০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভাগের সচিব ভূপিন্দর সিং ভাল্লা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

সৌর বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ভারতের অভ্যন্তরেই উৎপাদিত হয়। নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদগা মিটিয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয় সেসব সরঞ্জাম।

সম্প্রতি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম উৎপাদন বাবদ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২ হাজার ৪০০ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরঞ্জাম উৎপাদনের জন্য সরকারের বিশেষ প্রকল্প প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই অর্থ।

আরও পড়ুনঃ  গাজায় কোনও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না : ইসরায়েল

এনডিটিভিকে ভূপিন্দর সিং ভাল্লা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং একই সঙ্গে এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে যাওয়া। তার অংশ হিসেবেই ২০২৬ সালের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, এক হাজার মেগাওয়াট পরিমাণ বিদ্যুৎকে এক গিগাওয়াট বলে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশের দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, তবে দেশে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের গড় পরিমাণ ৯ হাজার মেগওয়াট বা ৯ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ।

আরও পড়ুনঃ  কেএফসিতে ভাঙচুর, পাকিস্তানে ১৭৮ বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার

এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ভূপিন্দর সিং ভাল্লা জানান, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ বা উইন্ডমিল ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্টগুলো থেকে প্রতিদিন ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, যা দেশটির মোট দৈনিক চাহিদার প্রায় অর্ধেক।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে কিশোরীর নৃশংসতা : স্বামীকে কুপিয়ে ভিডিও কলে দেখাল প্রেমিককে

সম্প্রতি জলবায়ুর পরিবর্তন ও তার জেরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘন ঘন দীর্ঘ টানা তাপপ্রবাহ, খরা, অতিবৃষ্টি, ঝড়-বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। জলবায়ুবিদ ও পরিবেশবিজ্ঞানীদের মতে কয়লা, জ্বালানি তেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতি নির্ভরশীলতা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।

এনডিটিভিকে ভুপিন্দর বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের পরিমাণ যদি প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ গিগাওয়াট বাড়ানো যায়, তাহলে সেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।’

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *