• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

আফ্রিকার মরুভূমির নিচে পানির বিশাল ভান্ডার

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৯:০৯

আফ্রিকার মরুভূমির নিচে পানির বিশাল ভান্ডার

অনলাইন ডেস্ক: অবিশ্বাস্য মনে হলেও মরুভূমিতে বালুর স্তূপের নিচে রয়েছে পানির বিশাল ভান্ডার
মরুভূমিতে পানির অভাব, অথচ মাটির নিচেই রয়েছে প্রাচীন জলাধার। সুদানসহ আফ্রিকার বড় কয়েকটি দেশজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের অস্তিত্ব রয়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেই পানির সদ্ব্যবহারের চেষ্টাও চলছে।

সুদানের যত উত্তরে যাওয়া যায়, জমি ততই শুষ্ক হয়ে ওঠে। কয়েকশ কিলোমিটারজুড়ে শুধু মরুভূমি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বালুর স্তূপের নিচে কিন্তু পানির বিশাল ভান্ডার রয়েছে। মিশর, সুদান থেকে চাদ ও লিবিয়া পর্যন্ত সেই জলাধার বিস্তৃত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে খননের সময় ‘নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার’ নামের সেই ভান্ডার আবিষ্কার করা হয়েছিল।

ভূতত্ববিদ হিসেবে আব্দুল্লাহ ওমর গত ২০ বছর ধরে অ্যাকুইফার নিয়ে গবেষণা করছেন। কয়েকটি জায়গায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি পানির নাগাল পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে খননের সময় ওমর এল গা-আব অঞ্চলে একটি উৎস খুলে দেন।

ওমর বলেন, ‘উত্তরের অংশে গভীরতা ৬০ মিটার অথবা আরও কম। ভাবতে পারেন? একটি সেচ প্রণালী দিয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে সেচ করা সম্ভব। সেটা সত্যি অনন্য। এতে জলাধারের শক্তিশালী প্রবাহ স্পষ্ট হয়ে যায়।’

আরও পড়ুনঃ  ইউক্রেন শিগগিরই খনিজ চুক্তি মেনে নেবে, আশা ট্রাম্পের

গা-আব এল-হাশার মতো স্থানীয় গ্রাম এর ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। ২০ বছর আগে সেই উৎস আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ নিয়মিত পানির নাগাল পাচ্ছে।

আব্দুল হাফিজ সাইদের মতো চাষি সেই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছেন। কয়েকশ হেক্টরজুড়ে তার নিজস্ব খেতে তিনি নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন। ফাভা বিনস, জোয়ার এবং আলফালফার পাশাপাশি চলতি বছর তিনি গম উৎপাদনে মনোযোগ দিয়েছেন।

আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘কৃষিকাজে পানি ঠিকমতো ব্যবহার করা উচিত। অর্থাৎ আমার মতে, উন্নত পদ্ধতি ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানির সাশ্রয় করা সম্ভব। কিন্তু প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহার করলে বেশি পানি লাগে।’

বেশ কয়েক বছর ধরে প্রাচীর গড়ে তোলার সুফল ভোগ করে আব্দুল হাফিজ সাইদ নিয়মিত তার খেতে সেচের কাজ করতে পারেন। প্রত্যেকটি উৎসের জন্য তার প্রায় সাড়ে চারশো ইউরোর মতো ব্যয় করতে হয়। কিন্তু তারপর গ্রামবাসী ও চাষিরা বিনামূল্যে পানি পেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  ইলন মাস্ককে ‘আরও আক্রমণাত্মক’ হতে বললেন ট্রাম্প

‘নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘জীবাশ্ম’ জলাধার। অর্থাৎ কয়েক লাখ বছর আগে সেখানে পানি জমা হয়ে মাটির নিচে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অ্যাকুইফারের পানির ভাণ্ডার মোটেই অফুরন্ত নয়। কয়েকটি জায়গায় কম হলেও নতুন করে পানি আসে। অন্য জায়গায় একেবারেই সেটা ঘটে না।

কয়েকজন গবেষকের ধারণা অ্যাকুইফারের আয়ু কমপক্ষে আরও দুইশো বছর। তবে সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এছাড়া সময়টাও বেশি নয়। এক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতিসংঘের এক প্রকল্পের মাধ্যমে সেই পানি ন্যায্য ও টেকসই উপায়ে ব্যবহার করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

সুদানের সরকার ২০২২ সালে পানির ব্যবহার সংক্রান্ত একটি আইনে সম্মতি জানিয়েছিল। সেচ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেটি কার্যকর করার কথা। এখনও পর্যন্ত সরকার জনগণের জন্য ৩৮টি ছোট এবং ছয়টি গভীর কূপ তৈরি করেছে।

আরও পড়ুনঃ  ইউএসএইডকে ভারতে সৎ বিশ্বাসে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল: জয়শঙ্কর

মন্ত্রণালয়ের পানি বিশেষজ্ঞ অটমান আহমেদ বলেন, ‘আমরা দেশের উত্তরে ও নীলনদের কাছের প্রদেশগুলোতে গম উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছি। আমরা জানতে পেরেছি, যে অ্যাকুইফারের পানি ব্যবহার করে দুই লাখ দশ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে গম উৎপাদন করতে পারি। পানির স্তর না কমিয়ে বা অ্যাকুইফারের ক্ষতি না করেই সেটা সম্ভব।’

এখনও পর্যন্ত অ্যাকুইফারে জমা বিশাল পরিমাণ পানি অন্তত কাগজে-কলমে কমেনি। তা সত্ত্বেও মানতে হবে, গোটা অঞ্চলের জনসংখ্যা এবং সেইসঙ্গে চাষি ও পশুপালকদের সংখ্যাও বাড়ছে। ভূতত্ত্ববিদ আব্দুল্লাহ ওমর নিয়মিত উত্তরের প্রদেশগুলোর গ্রামে গিয়ে পানির ব্যবহারের ওপর নজর রাখেন।

তিনি বলেন, ‘গোটা উত্তর প্রদেশে ১১টি ডিভাইস ছড়িয়ে রয়েছে, যেগুলোর পানির স্তরে পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রাখার কথা।’

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে চলা মরুকরণের অর্থ, এই অঞ্চলে অতীতের তুলনায় পানির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। বিশাল অ্যাকুইফারের জীবাশ্ম পানি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারলে সেখানে মানুষ ও প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষা করা অনেক সহজ হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

সাজেকে আগুনে পুড়ল ৯৫টি রিসোর্ট-দোকান-বসতঘর
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫ ৬:৫৭
ডিসেম্বর বা মার্চের মধ্যে নির্বাচন : শফিকুল আলম
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫ ৬:৫৭
কিডনি বিকল রোগে ভুগছেন অসুস্থ পোপ ফ্রান্সিস
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫ ৬:৫৭
 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675